বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গতকাল রাতে এক ভয়াবহ বিস্ফোরণে কেঁপে উঠেছিল দক্ষিণ ২৪ পরগণার পাথরপ্রতিমা। ওই ঘটনার ১২ ঘণ্টার মধ্যেই আটক করা হয়েছে কারখানার একজন মালিক চন্দ্রকান্ত বণিককে। জানা যাচ্ছে, মঙ্গলবার সকালেই ঢোলাহাট থানার পুলিশের জালে ধরা পড়েছে চন্দ্রকান্ত বণিক। এখনও পর্যন্ত আরও এক কারখানা মালিকের খোঁজে তল্লাশি চলছে। পাথর প্রতিমার এই বিস্ফোরণ কাণ্ডে রাজ্যের শাসক দলকে কাঠগড়ায় তুলে এনআইএ তদন্তের দাবী জানিয়েছে বঙ্গ বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বরা। এনআইএ তদন্তের দাবিতে ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছেন বঙ্গ বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। এরইমধ্যে জানা যাচ্ছে, জেলাশাসকের কাছে এই বিস্ফোরণকাণ্ডের রিপোর্ট তলব করেছে নবান্ন (Nabanna)।
পাথরপ্রতিমা বিস্ফোরণকাণ্ডে রিপোর্ট তলব করল নবান্ন (Nabanna)
পাথরপ্রতিমার বিস্ফোরণকাণ্ডে ঠিক কি ঘটেছিল? জেলাশাসককে তা জানিয়ে রিপোর্ট আকারে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই ভয়াবহ দুর্ঘটনা ইতিমধ্যেই প্রাণ কেড়ে নিয়েছে মোট ৮ জনের। জানা যাচ্ছে জীবন্ত অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় মৃত্যু হয় পরপর সাতজনের আর আজ সকালেই মৃত্যু হয়েছে আরও একজন বাসিন্দার।
সামনেই রয়েছে ওই এলাকার বাসন্তী পুজো। সেই পুজো উপলক্ষে পাথরপ্রতিমার ঢোলাহাট থানা এলাকার বাসিন্দা চন্দ্রকান্ত বণিকের বাড়িতে বেআইনিভাবে বাজি তৈরি হচ্ছিল। পুলিশ সূত্রে খবর গতকাল রাতে আচমকাই সেখানে আগুন লেগে যায়। তারপরে ভয়াবহ বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে গোটা এলাকা। বাড়ির মধ্যেই বোমা বিস্ফোরণ ঘটায় একের পর এক সিলেন্ডার বিস্ফোরণ হতে শুরু করে। মুহূর্তের মধ্যে জতুগৃহে পরিণত হয় গোটা বাড়ি। সেখানেই আটকে পড়েন বাড়ির লোকজন।
আরও পড়ুন: দলীয় হুইপ অমান্য করেই গরহাজির! মনোজ-সহ তিরিশের বেশি বিধায়ককে নিয়ে বড় পদক্ষেপের পথে TMC
অন্যদিকে পাথরপ্রতিমার এই বিস্ফোরণ কান্ডে ইতিমধ্যেই মুখ খুলতে শুরু করেছেন স্থানীয় মানুষজন। স্থানীয়দের অভিযোগ বিগত ১০ বছরের বেশি সময় ধরে এই বেআইনি বাজি কারখানা চলছিল। বাজি কারখানার আড়ালে এখানেই তৈরি হতো বোমা। স্থানীয়দের অভিযোগ এই কারখানা বন্ধ করার জন্য ইতিপূর্বে একাধিকবার পুলিশের দ্বারস্থ হয়েও কোন লাভ হয়নি।
গতরাতের এই ভয়াবহ এই দুর্ঘটনায় এখনও পর্যন্ত একজন কারখানার মালিক চন্দ্রকান্ত বণিককে গ্রেফতার করা হয়েছে। অপর একজন কারখানার মালিক গা ঢাকা দেওয়ায় তার খোঁজে তল্লাশি চলছে। সূত্রের খবর এই অভিযুক্ত কারখানার মালিককে জেরা করে যে সমস্ত তথ্য উঠে আসবে এবং এলাকাবাসী অভিযোগ থেকে যে সমস্ত তথ্য পাওয়া যাবে তা রিপোর্ট আকারে পাঠাতে হবে নবান্নে (Nabanna)।