বাংলা হান্ট ডেস্কঃ নবান্নের (Nabanna) তরফে বাংলা শস্য বীমার আওতায় এবার মোটা টাকার ক্ষতিপূরণ পেলেন প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত ৯ লক্ষের বেশি কৃষক। গত বছরের অক্টোবর মাসের শেষের দিকে ওড়িশা উপকূলে আছড়ে পড়েছিল শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ডানা’। ভয়াবহ এই প্রাকৃতিক দুর্যোগের কবলে পড়ে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল খরিফ মরশুমের ধান চাষ। ওই সময় যে সমস্ত কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিলেন তারা পেয়েছেন এই বিপুল অর্থ। গত বছরের এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব পড়েছিল দক্ষিণবঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকায়।
কৃষি বীমার আওতায় নবান্নের (Nabanna) তরফ থেকে দেওয়া হচ্ছে মোট ৩৫১ কোটি
অতিরিক্ত বৃষ্টির প্রভাবে দক্ষিণের কয়েকটি জেলায় ধানের ধান চাষেরও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছিল। তার কিছুদিন আগে ডিভিসি থেকে জল ছাড়ায় হাওড়া,হুগলি ও বর্ধমান জেলায় ধান চাষের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল। সারা দেশের মধ্যে এই রাজ্যেই প্রথম ইসরোর উপগ্রহ চিত্রের সাহায্যে ফসলের ক্ষতির মাত্রা নির্ধারণ করা শুরু হয়। সরকারের দাবি এরফলে অনেক দ্রুত ক্ষয় ক্ষতি চিহ্নিত করে চাষীদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া সম্ভব হচ্ছে।
নবান্নে (Nabanna) রাজ্যের মুখ্য সচিব মনোজ প্রান্তের নেতৃত্বে শনিবার একটি বৈঠক হয়েছিল। ওই বৈঠকে বিভিন্ন সরকারি প্রকল্প নিয়ে পর্যালোচনা করা হয়েছে। সেখানে রবি ও বোরো মরশুমের জন্য বাংলা শস্য প্রকল্পের কৃষকদের নাম নথিভুক্ত করার কাজ কতটা এগিয়েছে তা খতিয়ে দেখা হয়। কৃষি-দপ্তরের দেওয়া রিপোর্ট থেকে জানা যাচ্ছে, রবি ও বোরো মরশুমের জন্য এই প্রকল্পে এখনও পর্যন্ত মোট ৭১ লক্ষ ৯৮ হাজার চাষির নাম নথিভুক্ত করা হয়েছে। জানা যাচ্ছে এঁদের মধ্যে আলু চাষি রয়েছেন ১২ লক্ষ ১৩ হাজার।
আরও পড়ুন: সাইকেল অতীত! স্কুল ছাত্রীদের এবার বিনামূল্যে স্কুটি দেবে রাজ্য সরকার! কারা পাবেন ঝটপট জানুন
প্রসঙ্গত এবারই প্রথম আলু ও আখ চাষিদের প্রিমিয়াম বাবদ কোনও টাকা দিতে হচ্ছে না। রাজ্য সরকার ২০১৯ সালে প্রথম বিএসবি শুরু করে। প্রথম থেকে আলু ও আখ ছাড়া অন্য কোনও ফসলের জন্য কৃষকদের প্রিমিয়াম বাবদ কোনও টাকা দিতে হতো না। তবে এই দু’টি ফসলের জন্য সামান্য কিছু প্রিমিয়াম দিতে হতো। তবে গত বছরের বাজেটে ঘোষণা করা হয়, প্রিমিয়ামের ওই টাকা টুকুও দিতে হবে না।
জানা যাচ্ছে, এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হচ্ছে ২০২৪-২৫-এর রবি ও বোরো মরশুম থেকে। সরকারি সূত্রে খবর, ২০২২-২৩ আর্থিক বছরে বিএসবি’র জন্য বাজেট বরাদ্দ ছিল ১০২২ কোটি টাকা। যা পরের অর্থবর্ষে বাড়িয়ে ১১২৫ কোটি করা হয়েছে। এছাড়াও ২০২৫-২৬ সালের বাজেটে এই খাতে বরাদ্দ করা হয়েছে ১৩১৩ কোটি ১৮ লক্ষ টাকা। রিপোর্ট বলছে, বিএসবি শুরু হওয়ার পর এখনও পর্যন্ত মোট ১ কোটি ১২ লক্ষ কৃষক মোট ৩৫৬২ কোটি টাকা পেয়েছেন।