বাংলাহান্ট ডেস্ক: বিনোদন জগতে বিচ্ছেদের রমরমার সময়ে সঙ্গীতশিল্পী নচিকেতা চক্রবর্তীর (Nachiketa Chakraborty) ফেসবুক গুঞ্জনের আগুনে ধুনো দিয়েছিল। হঠাৎ করেই ‘ডিভোর্স’ এর কথা ঘোষনা করে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে সবাইকে চমকে দিয়েছিলেন তিনি। ব্যক্তিগত জীবনের টানাপোড়েন নাকি নতুন গানের প্রচার? উঠতে শুরু করেছিল প্রশ্ন। কিন্তু ‘ব্যক্তিগত’ ব্যাপার বলে এড়িয়ে গিয়েছেন নচিকেতা। অবশেষে তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলেই মিলল উত্তর।
নাহ, নচিকেতা ভক্তদের চিন্তার কোনো কারণ নেই। গায়কের ব্যক্তিগত জীবনে কোনো রকম সমস্যাই তৈরি হয়নি। আসলে সবটাই প্রচারি গিমিক। ইদানিং কোনো কিছুর প্রচার করতে গেলে রহস্য বাড়িয়ে এমনি ‘হটকে’ পন্থা গ্রহণ করছেন তারকারা। নচিকেতাও সেই একই পথের শরিক হলেন এবার।
কিছুদিন আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করেছিলেন নচিকেতা। একটি ছবি শেয়ার করেছিলেন তিনি। সেখানে কালো রঙে লেখা ডিভোর্স। তার উপরে কোণাকুণি ভাবে টানা একটি লাল রঙের লাইন। ক্যাপশনে তিনি লিখেছেন, ‘যাঃ! অবশেষে ডিভোর্সটা হয়েই গেল’। যাবতীয় ফিসফাস, গুঞ্জনের সূত্রপাত ওই পোস্টটি থেকেই। অনেকেই চিন্তা করতে শুরু করেছিলেন, স্ত্রীর সঙ্গে কি সমস্যায় জড়ালেন গায়ক?
তিনি নিজেও মুখে কুলুপ এঁটে রেখেছিলেন। শেষমেষ খোলসা হল রহস্য। আসলে একটি নতুন গান নিয়ে আসছেন নচিকেতা। নাম ‘হ্যাপি ডিভোর্স’। সেই গানের প্রচারেই এত কাণ্ড! আগামী ২৭ জানুয়ারি ইউটিউবে মুক্তি পাচ্ছে হ্যাপি ডিভোর্স।
এর আগে নচিকেতার ডিভোর্স পোস্ট নিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল গায়কের মেয়ে ধানসিঁড়িকে। ‘ডিভোর্স’ পোস্টের নেপথ্যে কাহিনিটা কী? মেয়ে জানিয়েছিলেন, বাবা এমন কেন লিখেছেন তা তিনি বুঝতে পারছেন না। বাবা মায়ের সঙ্গে এক বাড়িতে থাকলেও নচিকেতার সঙ্গে এ বিষয়ে কোনো কথা হয়নি বলেই জানিয়েছিলেন ধানসিঁড়ি।
এই সময়ে গানের অনুষ্ঠান নিয়ে খুবই ব্যস্ত নচিকেতা। তাই এ ব্যাপারে কথা বলার সময়ই হয়ে ওঠেনি বাবা মেয়ের। আর মা সুমিতাকে জিজ্ঞাসা করলে উত্তর পেয়েছেন, ‘নিজের কাজ কর, তোকে এই নিয়ে ভাবতে হবে না’। শেষে ধানসিঁড়ি জানিয়ে দিয়েছিলেন, বাবা মা যদি সিদ্ধান্ত নিয়েও থাকেন তবে সেটা তাঁদের ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। তবে এখন আর কোনো বিতর্কের অবকাশ নেই।