বাংলাহান্ট ডেস্ক: জীবনমুখী গান গেয়ে যার জনপ্রিয়তা সেই নচিকেতা চক্রবর্তীর (nachiketa chakraborty) মুখেই কালীপুজোর আগে শোনা গেল শ্যামাসঙ্গীতের সুর। আলোর উৎসবের আগে অনুরাগীদের চমকপ্রদ সারপ্রাইজ দিলেন গায়ক। এ বছর কালীপুজোতে প্রথম বার ‘নীলাঞ্জনা’র গায়কের মুখে শোনা গেল শ্যামাসঙ্গীত।
নতুন কোনো জীবনমুখী গান নয়। এ বছর কালীপুজোয় অনুরাগীদের নিজের গাওয়া প্রথম শ্যামাসঙ্গীত উপহার দিলেন নচিকেতা। গানের নাম ‘তোকে শ্যামা’। গানের কথা লিখেছেন, গোবিন্দ প্রামাণিক, সুর রাজকুমার রায়ের। দূর্গাপুজোর আগেই অবশ্য সারা হয়ে গিয়েছিল গানের রেকর্ডিং। কালীপুজোর ঠিক আগে আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় গানটি শেয়ার করেছেন নচিকেতা।
যাঁর কণ্ঠে এতদিন ধরে একটি বিশেষ ঘরানার গান শুনে এসেছেন শ্রোতারা তাঁর কণ্ঠে শ্যামাসঙ্গীত শুনে মুগ্ধ সকলে। পোস্টের কমেন্ট বক্সে প্রকাশ পেয়েছে সেই মুগ্ধতা। একজন লিখেছেন, ‘যাকে বলে সত্যিকারের মায়ের গান, সত্যিকারের শ্যামা সঙ্গীত!’ আরেকজন লিখেছেন, ‘জীবনমুখী শ্যামাসংগীত !’
নব্বইয়ের দশকের জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী নচিকেতা। শুধু জনপ্রিয় বললে হয়তো তাঁর খ্যাতিকে ছোট করা হয়। সে জনপ্রিয়তার ব্যাপ্তি এতটাই যা লেখনীর মাধ্যমে সঠিক ভাবে প্রকাশ করা যাবে না। নচিকেতার গান, তাঁর জীবনদর্শনের মধ্যে লুকিয়ে রয়েছে গভীর অর্থ। বাইরের মোড়কে তা সহজে ধরা পড়বে না।
বাবার প্রতিভা পেয়েছে মেয়ে ধানসিড়ি চক্রবর্তীও। নিজের চেষ্টায় আজ বাংলা সঙ্গীতের দুনিয়ায় প্রতিষ্ঠিত ধানসিড়ি। রয়েছে নিজস্ব ব্যান্ডও। ছোট থেকে বাবা নচিকেতাই তাঁর সঙ্গীত গুরু ছিলেন। মঞ্চে বাবার পাশে দাঁড়িয়ে গানও গেয়েছেন। তবে নচিকেতা মেয়েকে সব সময়েই পরামর্শ দিয়েছেন নিজের মতো করে গান গাইতে।
বাংলা প্লেব্যাক সিঙ্গিংয়ে নিজের জায়গা ইতিমধ্যেই প্রতিষ্ঠা করে নিয়েছেন ধানসিড়ি। ‘মহানায়িকা’, ‘অলীক সুখ’ এর মতো ছবিতে গান গেয়েছেন তিনি। তবে তাঁর আক্ষেপ, ছবির জন্য তেমন ভাল গানের প্রস্তাব আসে না তাঁর কাছে। যাও বা আসে বেশিরভাগই প্রেম বিষয়ক। তাই নিজস্ব গান তৈরির দিকে ঝুঁকেছেন ধানসিড়ি।