বাংলাহান্ট ডেস্ক : এবার লালন উৎসবে বঞ্চিত থাকলেন তাঁরই ভূমির মানুষেরা। ভারত-বাংলাদেশ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক যখন তলানিতে, তখন নদীয়ার (Nadia) লালন উৎসবে ব্রাত্যই রাখা হল বাংলাদেশিদের। এপার-ওপার বাংলা দুই জায়গাতেই বছরের পর বছর ধরে সমাদৃত হয়ে আসছে নদীয়া জেলার ঐতিহ্যবাহী লালন তীর্থ কদমখালীর লালন মেলা।
নদীয়ার (Nadia) লালন উৎসবে ঠাঁই হল না বাংলাদেশিদের
লালন ফকিরের গানের চর্চার মাধ্যমে প্রতিবছর পালিত হয়ে আসছে লালন উৎসব। স্থানীয় তো বটেই, বাইরে থেকে আসা শিল্পীরা লালনের গানে বুঁদ করে রাখেন দুই বাংলার শ্রোতাদের। স্থানীয় বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, বাংলাদেশের (Bangladesh) রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে এই বছর ওপার বাংলার মানুষজন আসতে পারেননি নদীয়ার (Nadia) লালন উৎসবে।
নদিয়া (Nadia) জেলার ভীমপুর থানার অন্তর্গত লালন তীর্থ কদমখালীতে লালন উৎসবকে নিয়ে উন্মাদনা থাকে প্রতিবছর। চলতি বছরও তার অন্যথা হয়নি। লালন উৎসবের প্রথম দিন থেকেই ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। ২০২৪ সালের লালন উৎসবের উদ্বোধন করেন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের (West Bengal Government) জৈব প্রযুক্তি মন্ত্রী উজ্জ্বল বিশ্বাস।
আরোও পড়ুন : কত হাজার চাকরিপ্রার্থীর থেকে টাকা নিয়েছেন পার্থ? বিস্ফোরক তথ্য সামনে
তাঁর সাথে ছিলেন একাধিক স্বনামধন্য বাউল ও ফকির শিল্পীরা। ট্র্যাডিশন মেনে বাউল গানের মাধ্যমে সূচনা হয় লালন উৎসবের। জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে লালনের গানের মাধ্যমে বিশ্ববাসীকে সম্প্রীতির বার্তা পৌঁছে দেন শিল্পীরা। হাসিনা সরকারের পতনের পর বাংলাদেশের রাজনৈতিক ও সামাজিক পরিস্থিতি ক্রমশ উত্তপ্ত হচ্ছে।
অশান্তির আঁচ এসে পৌঁছেছে সীমান্তবর্তী এলাকাতেও। চলতি বছর ওপার বাংলায় লালন মেলা কতটা আন্তরিকতার সাথে অনুষ্ঠিত হচ্ছে তা নিয়ে সন্দিহান এপার বাংলার লালন ভক্তরা। লালন উৎসবে আগত অতিথিদের কথায়, এপার বাংলায় চির অক্ষয় হয়ে থাকবে লালনের গান। লালন ফকিরের আদর্শে বিশ্বমঞ্চে পৌঁছাবে সম্প্রীতির বার্তা।