বৌমার বাপের বাড়ির লোকেরা বিজেপি, গৃহবধূকে মারধর করে বের করে দিলেন তৃণমূল নেতা

বাংলাহান্ট ডেস্ক : দোষের মধ্যে বিজেপি সমর্থক তিনি, বাড়ির লোকজনও যোগ দিয়েছিল বিজেপিতে। আর এই অপরাধেই বেধড়ক মারধর করে খুনের হুমকি দিয়ে বের করে দেওয়া হল গৃহবধূকে। অভিযোগের তীর তৃণমূলের ভাইস চেয়ারম্যান এবং পরিবারের দিকেই।

নদীয়ার কুপার্স ক্যাম্প পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান দিলীপ দাস। বছর চারেক আগে তাঁরই ভাইপো চিরঞ্জিত দাসের সঙ্গে বিয়ে হয় ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা সোমা হালদারের। জানা যাচ্ছে বিয়ের পর সবকিছুই ঠিকঠাকই ছিল। কিছুদিন সুখেই ছিলেন গৃহবধূ। কিন্তু এর কিছুদিনের মধ্যেই বিজেপিতে যোগ দেন সোমা দেবীর দাদা। অভিযোগ, রাজনৈতিক কারণে এরপর উত্তরোত্তর বাড়তে থাকে অত্যাচার। ক্রমাগত ওই গৃহবধূর উপর শারীরিক এবং মানসিক নির্যাতন চালান শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা। মাস কয়েক আগে অত্যাচারের মাত্রা এমন জায়গায় পৌঁছায় যে রীতিমতো আগ্নেয়াস্ত্র এবং রড দিয়েও বেধড়ক মারধর করা হয় তাঁকে এবং তাঁর পরিবারকে। শেষ মেষ সেযাত্রায় কোনও ভাবে পালিয়ে বাঁচেন গৃহবধূ। এরপর বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয় তাঁকে। এমনকি দেওয়া হয় প্রাণে মেরে ফেলার হুমকিও।

এরপরই ওই তৃণমূল নেতা এবং তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে রানাঘাট থানায় অভিযোগ দায়ের করেন সোমা দেবী এবং তাঁর পরিবার। কিন্তু প্রথমে গ্রেফতার করা হলেও পরে জামিনে মুক্তি পেয়ে যান অভিযুক্তরা।

পুরো ঘটনার প্রেক্ষিতে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি অভিযুক্ত ভাইস চেয়ারম্যান দিলীপ দাস বা তাঁর পরিবারের কাছ থেকে। কিন্তু আইন আইনের পথে চলবে এমনটিই জানানো হয়েছে তৃণমূলের তরফে। পুরো ঘটনাটি খতিয়ে দেখছে রানাঘাট থানার পুলিশ।

উল্লেখ্য, দিন দুয়েক আগেই বিজেপিকে ভোট দেওয়ার জন্য বেধড়ক মারধরের শিকার হতে হয় উত্তরপ্রদেশের বরৈলির এক মুসলিম গৃহবধূকেও। মুসলিম হয়ে কেন বিজেপিকে ভোট দিয়েছেন তিনি এই অভিযোগে তাঁর উপর অত্যাচার চালান শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা। শেষমেষ প্রশাসনের দ্বারস্ত হয়ে আইনি পথে হাঁটতে বাধ্য হন উজমা আনসারি নামের ওই গৃহবধূ।


Katha Bhattacharyya

সম্পর্কিত খবর