বাংলাহান্ট ডেস্ক : বাড়ি বানাতে গেলে এলাকার ক্লাবকে দিতে হবে ৪ লক্ষ টাকা। এমনই অভিযোগ উঠল নদীয়ার ফুলিয়ায়। চিকিৎসকের কাছ থেকে ওই টাকা দাবি করায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে শান্তিপুর থানায়। যদিও এখনও কাউকে গ্রেপ্তার করেনি পুলিশ।
ফুলিয়া ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চিকিৎসক সুজন দাস। বরাবরের মেধাবী ছাত্র ছিলেন সুজন। এডুকেশন লোন নিয়ে পড়াশোনা চালিয়ে চিকিৎসক হন তিনি। এরপরই স্বপ্ন ছিল নিজের একটি বাড়ি বানাবেন। সেই মতন মাসখানেক আগে শান্তিপুরের শ্যামবাজার এলাকায় দেড় কাঠা জমিও কেনেন তিনি। জমিটিকে পাঁচিল দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয়। এরপরই শুরু হয় গন্ডগোল।
গত ১৭ ফেব্রুয়ারি একটি ফোন আসে ওই চিকিৎসকের কাছে। তাতে ৪ লক্ষ টাকা দাবি করা হয় স্থানীয় ক্লাবের তরফে। বলা হয় ওই টাকা না দিলে কিছুতেই বাড়ি বানাতে দেওয়া হবে না এলাকায়। কিন্তু ওই টাকা দিতে অস্বীকার করেন চিকিৎসক। এরপরই কয়েকজন এসে ভাঙচুর চালায় ওই জমিতে। ভেঙে দেওয়া হয় পাঁচিল এবং গেট। একই সঙ্গে ভাঙা হয় একটি জলের কলও।
পুরো ঘটনার ভিত্তিতে শুক্রবার শান্তিপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন সুজন। এমনকি ন্যায় বিচারের দাবিতে শুক্রবার সারারাত থানাতেই বসে থাকেন তিনি। তারপরও শনিবার বিকেল অবধি কোনো পদক্ষেপ নেয়নি পুলিশ। গ্রেপ্তার করা হয়নি কাউকেই।
ওই চিকিৎসক জানিয়েছেন, ‘শ্যামবাজার ক্লাব থেকে আমার উপর চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে। হুমকি দিচ্ছে। যেহেতু আমি শ্যামবাজারের বাইরে থেকে জমি কিনেছি তাই ৪ লক্ষ টাকা দাবি করেছে। আমি ওদের বলি আমি কোনও ভাবেই দিতে পারব না অত টাকা। এরপর ফোন রাখার দশ মিনিটের মধ্যেই শ্যামবাজারের এক দাদা আমাকে জানায় তোমার জমির পাঁচিল আর গেট ভেঙে দিয়েছে। এই কথা জানার পর আমি থানায় অভিযোগ জানাই।’
সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে স্থানীয় ওই ক্লাব। শ্যামবাজার ক্লাবের তরফে দাবি করা হয় এ ব্যাপারে কিছুই জানেন না তাঁরা। উলটে সুজন দাসই ক্লাবে ঢুকে ক্লাবের জিনিসপত্র ভাঙচুর করেছে। পুরো বিষয়টিতে রাজনৈতিক যোগ দেখছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।