করতে হবে না প্যাডেল, সৌরশক্তিতেই চলবে সাইকেল! অবাক আবিষ্কার করিমপুরের ব্যক্তির

বাংলাহান্ট ডেস্ক : দিন দিন বাড়ছে সৌরচালিত দ্রব্যের ব্যবহার। বাড়ির বিদ্যুৎ হোক কিংবা গাড়ি সবেতে ধীরে ধীরে জায়গা করে নিচ্ছে সৌরশক্তি। এমনকি বাজারে সৌরচালিত সাইকেলও পাওয়া যায়। কিন্তু তার দামও অনেক। ঠিক এই কারণেই নিজের হাতেই সৌরশক্তি চালিত সাইকেল তৈরি করে ফেললেন করিমপুরের কেচুয়াডাঙ্গার বাসিন্দা চন্দন বিশ্বাস। পেশায় তিনি দলিল লেখক। প্রতিদিনই বাড়ি থেকে রেজিস্ট্রি অফিসের দীর্ঘ পথ যেতে হতো সাইকেল চালিয়ে। কিন্তু তার নিজের চেষ্টায় গড়া সৌরশক্তি চালিত সাইকেলের জেরে কিছুটা হলেও লাঘব হয়েছে তার কষ্ট। প্রথমে নিজের তাগিদে তৈরি করলেও এখন বাণিজ্যিক কারণে এই সাইকেল তৈরি করতে চান তিনি।

চন্দন বাবু জানিয়েছেন,”১ লক্ষ ১০ হাজার টাকার কাছাকাছি খরচ হয়েছে এই সাইকেল তৈরিতে। কিন্তু যদি উপযুক্ত স্পন্সর পাই তাহলে বাণিজ্যিক উৎপাদনের জন্য সোলার সাইকেল তৈরি করতে পারব। একসাথে অনেক অর্ডার পেলে সাইকেল তৈরীর খরচ অনেকটা কমে যাবে। সাইকেল পিছু হয়তো ৩০ হাজার টাকা মতো খরচা হতে পারে।”

কেচুয়াডাঙ্গায় রীতিমতো সারা পড়ে গেছে চন্দনে তৈরি এই সাইকেলকে ঘিরে। এই সাইকেল নিয়ে বেরোলেই তাকে দেখতে ভিড় জমাচ্ছেন মানুষজন। চন্দনের কথায়,”প্রথম এটি ব্যাটারি চালিত সাইকেল ছিল। কিন্তু তাতে বারবার চার্জ দিতে হতো। তাই ব্যাটারির পরিবর্তে সোলার প্যানেল লাগাই সাইকেলে। পথে যাওয়া আসার সময় বিদ্যুৎ উৎপাদন করে নেয় প্যানেলটি।আলাদাভাবে চার্জের প্রয়োজন হয় না। ঘন্টায় ৩৫ কিলোমিটার গতিবেগ সম্পন্ন এই সাইকেলটি এক চার্জে টানা ৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত চলতে পারে।”

চন্দন বাবুর এই কর্মকাণ্ডে খুবই খুশি হয়েছেন স্ত্রী। তিনি জানিয়েছেন,”এর আগে ব্যাটারি দেওয়া সাইকেল ছিল। এখন সোলার প্যানেল দেওয়া সাইকেল। এরকম জিনিস আর ক’জনের আছে?” চন্দনের প্রচেষ্টাকে বাহবা জানিয়ে করিমপুর ১ নম্বর ব্লকের বিডিও অনুপম চক্রবর্তী বলেছেন,”এই ধরনের পরিবেশ বান্ধব ব্যতিক্রমী উদ্যোগ সর্বদা প্রশংসনীয়।”

Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর