চা ওয়ালা থেকে রেলের গেট ম্যান! ট্রেন এলেই কেটলি ফেলে দৌড়, অবাক করবে নদীয়ার ননীগোপালের গল্প

বাংলাহান্ট ডেস্ক : রাজ্য সড়কের উপর দিয়ে যাওয়া রেল লাইনের ধারে নেই রেলগেট। ঠিক সেখানেই রয়েছে একটি ছোট চায়ের দোকান। এই চায়ের দোকানের মালিক নদীয়ার (Nadia) ননীগোপাল দেবনাথ। ছোট এই চায়ের দোকান থেকে যা রোজগার হয়, তাই দিয়েই সংসার চলে ননীগোপালের। তবে চায়ের দোকান চালানোর পাশাপাশি ননীগোপালের রয়েছে আরো একটি কাজ।

এই কাজের জন্য অবশ্য তিনি বেতন পান না। শুধুমাত্র সাধারণ মানুষের কথা ভেবে ননীগোপাল বছরে পর বছর ধরে এই কাজ করে আসছেন। ননীগোপাল একজন চা বিক্রেতা। তবে অনেকেই তাকে রেলের গেটম্যান ভেবে ভুল করতে পারেন। আসলে দুর্ঘটনার হাত থেকে মানুষকে বাঁচানোর জন্য ননীগোপাল বিনা পারিশ্রমিকে করে আসছেন গেটম্যানের কাজ।

আরোও পড়ুন : SWP’র নাম জানেন? এখানে বিনিয়োগ করলেই মাসে মিলবে মোটা অংকের টাকা, জানুন বিস্তারিত

শান্তিপুর থেকে কৃষ্ণনগর পর্যন্ত রেললাইন বর্তমানে রূপান্তরিত হয়েছে ব্রডগেজে। অথচ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কে নেই রেলগেট। এই রেলপথ অবস্থিত শান্তিপুর থানার বেলডাঙা মোড়ের ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের সংযোগকারী রাজ্য সড়কে। এই রেলপথে সুরক্ষার জন্য নেই কোনো রেলগেট। প্রতিদিন হাজার হাজার গাড়ি ও মানুষ যাতায়াত করেন এখান দিয়ে।

আরোও পড়ুন : সুবর্ণ সুযোগ! প্রচুর কর্মী নিয়োগ করছে BSF, দেখুন চাকরিপ্রার্থীরা কীভাবে আবেদন করবেন

রেলগেট না থাকার জন্য যেকোনো মুহূর্তে ঘটে যেতে পারে বড় দুর্ঘটনা। এই রেলগেটের পাশে চা বিক্রি করা ননীগোপাল দুর্ঘটনা রুখতে নিজের কাছে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। গত ২৬ বছর ধরে তিনি এখানে বিনা পারিশ্রমিকে করে আসছেন গেটম্যানের কাজ। যখন এখান দিয়ে ট্রেন যায়, তখন ননীগোপাল বাবু নিজের দুহাত দেখিয়ে সতর্ক করেন মানুষকে।

Untitled design 20240514 042911 0000

ননীগোপাল বাবুর কথায়, “এখানে দুই টাইম ট্রেন যায়। মানুষের যাতে দুর্ঘটনা না ঘটে সেই কারণে গেটম্যানের কাজ করি। আমি নিজের ইচ্ছায় করি। এর জন্য রেলের তরফে কখনও সংবর্ধনাও দেওয়া হয়নি। আর চাকরিও দেয়নি। আমার দোকানদারি করে যা রোজগার হয় তাতেই চলে যায়।”

Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর