বাংলাহান্ট ডেস্ক : অভিভাবক ও পড়ুয়াদের গৃহ শিক্ষকেরা স্কুলে গিয়েছিলেন ইউনিট পরীক্ষার সময়সূচি বদলানোর আবেদন জানাতে। সেই ঘটনা থেকে রীতিমতো খন্ড যুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরি হলো স্কুলে। স্কুল শিক্ষকদের সাথে গৃহ শিক্ষক ও অভিভাবকদের তুমুল মারপিটের জেরে আহত হলেন সাতজন স্কুল শিক্ষক।
এই ঘটনায় রীতিমত উত্তপ্ত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় নদিয়ার গাঙনাপুরের সরিষাডাঙা ড. শ্যামাপ্রসাদ হাইস্কুলে। অভিভাবকদের বিরুদ্ধে স্কুল শিক্ষকদের মারধরের অভিযোগ উঠেছে। পাশাপাশি অভিযোগ অভিভাবকেরা স্কুলের টিচার্স রুমে ঢুকে চেয়ার ,টেবিল ভাঙচুরও করেছেন। দুপক্ষের হাতাহাতির ফলে আহত হয়েছেন সাতজন স্কুল শিক্ষক। স্কুল কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে অভিভাবক ও গৃহ শিক্ষকদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।গাঙনাপুর থানার পুলিশ এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
সূত্র অনুযায়ী, নির্দিষ্ট পরীক্ষা দিনের আগে তৃতীয় ইউনিট পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় স্কুল কর্তৃপক্ষ। সেই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন জানাতে পৌঁছায় গৃহ শিক্ষক ও অভিভাবকেরা। বৃহস্পতিবার স্কুল চলার সময়ই অভিভাবক ও গৃহ শিক্ষকেরা স্কুলে গিয়ে এই মর্মে আবেদন জানায়। এরপরই সৃষ্টি হয় মারপিটের।
জানা যাচ্ছে এই হাতাহাতির ঘটনায় সাতজন স্কুল শিক্ষক আহত হয়েছেন। স্কুল কর্তৃপক্ষের অভিযোগ অভিভাবকেরা টিচার্স রুমে ঢুকে চেয়ার , টেবিল , ব্ল্যাকবোর্ড ভাঙচুর করেছেন। এই চাঞ্চল্যকর ঘটনার জেরে রীতিমত উত্তপ্ত পরিস্থিতি সৃষ্টি হয় ড.শ্যামাপ্রসাদ হাই স্কুলে। পুলিশ এই ঘটনা খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছে।