বাংলা হান্ট ডেস্ক: বর্তমান সময়ে ভারতের (India) প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রকে আরও শক্তিশালী এবং উন্নত করে তোলার লক্ষ্যে একের পর এক বড় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে। সেই রেশ বজায় রেখেই এবার একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ আপডেট সামনে এসেছে। এই প্রসঙ্গে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, Nagastra-1 নামের একটি আত্মঘাতী ড্রোনের প্রথম ব্যাচ পেয়েছে ভারতীয় সেনা (Indian Army)। এটি হল ম্যান-পোর্টেবল ড্রোন। যার অর্থ একজন সৈন্য নিজেই এটিকে তুলে অন্য যেকোনোও জায়গায় নিয়ে যেতে পারেন।
সবথেকে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, এই ড্রোন শত্রুদের প্রশিক্ষণ শিবির, লঞ্চ প্যাড এবং অনুপ্রবেশকারীদের ওপর নিখুঁতভাবে আক্রমণ করতে সক্ষম। এই হাই-টেক ড্রোনগুলি সম্পূর্ণরূপে ডিজাইন ও তৈরি করেছে নাগপুরে স্থিত কোম্পানি ইকোনমিক এক্সপ্লোসিভস লিমিটেড (EEL)। এটি সোলার ইন্ডাস্ট্রিজের একটি সহযোগী প্রতিষ্ঠান। একটি রিপোর্টে বলা হয়েছে, ড্রোনগুলিতে ৭৫ শতাংশের বেশি দেশীয় সামগ্রী রয়েছে। পাশাপাশি, এই ড্রোনগুলি অন্তর্ভুক্ত করার ফলে ভারতীয় সেনাবাহিনীর প্রয়োজনে আন্তঃসীমান্ত হামলা চালানোর ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। অন্তর্নির্মিত ওয়ারহেড সহ Nagastra-1-এর মতো ড্রোনগুলি কামিকেজ বা বিস্ফোরণ ড্রোন নামে পরিচিত।
#WATCH | The first indigenous Loitering Munition, Nagastra–1, developed by Solar Industries, Nagpur, has been delivered to the Indian Army
Nagastra -1, in a ‘kamikaze mode’ can neutralize any hostile threat with GPS-enabled precision strike with an accuracy of 2m. The… pic.twitter.com/kWeehBMGvW
— ANI (@ANI) June 14, 2024
প্রতিরক্ষা আধিকারিকদের মতে, ভারতীয় সেনাবাহিনী EEL-কে এই ধরণের ৪৮০ টি ড্রোন অর্ডার করেছিল। যার মধ্যে ১২০ টি Nagastra-1 সেনাবাহিনীর গোলাবারুদ ডিপোতে হস্তান্তর করা হয়েছে। Nagastra-1-এর ওজন হল ৯ কেজি। এটি ৩০ মিনিটের জন্য উড়তে পারে। যার ম্যান-ইন-লুপ রেঞ্জ হল ১৫ কিমি এবং অটোনোমাস মোড রেঞ্জ হল ৩০ কিমি। প্রতিরক্ষা আধিকারিকদের মতে, ম্যান-পোর্টেবল ফিক্সড-উইং ইলেকট্রিক ইউএভিতে ২০০ মিটারেরও বেশি রেঞ্জ সহ ইলেকট্রিক প্রোপালশন সিস্টেম রয়েছে। যার কারণে এই ড্রোন শত্রুদেশের রাডারে আসতে পারে না।
আরও পড়ুন: ভারতের সাথে নো পাঙ্গা! চিনকে ঝটকা দিয়ে Vivo কোম্পানির ৫১ শতাংশ শেয়ার কেনার পথে Tata Group
পাশাপাশি, এই ড্রোন ১৫ কিলোমিটার দূরত্বে ১ কেজি ওজনের অস্ত্র বহন করতে পারে। এছাড়াও, এই ড্রোনের আপগ্রেড সংস্করণ ৩০ কিলোমিটার পর্যন্ত ২.২ কেজির অস্ত্র বহন করতে সক্ষম। এদিকে, যদি কোনো টার্গেট শনাক্ত করা না যায় বা কোনো কারণবশত মিশনটি বাতিল করা হয় সেক্ষেত্রে এই আত্মঘাতী ড্রোনগুলিকে ফেরত নিয়ে আসা সম্ভব এবং প্যারাসুট রিকভারি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সফট ল্যান্ডিং করানো যেতে পারে। যার ফলে এগুলি একাধিকবার পুনরায় ব্যবহার করা যাবে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, ২০২৩ সালের এপ্রিলে মানেকশ সেন্টারে এই ড্রোনটি প্রথমবারের মতো দেখানো হয়েছিল। Nagastra-1-এর মতো ড্রোন হল এমন এক ধরণের অস্ত্র যেটি অন্তর্নির্মিত ওয়ারহেড দিয়ে ডিজাইন করা হয়। এটি সাধারণত একটি টার্গেট স্থির না হওয়া পর্যন্ত একটি এলাকার চারপাশে ঘোরাঘুরি করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে এবং তারপরে টার্গেটে আঘাত করে আক্রমণ করে। পাশাপাশি, এই ড্রোনটি তার টার্গেটে দ্রুত প্রতিক্রিয়াও জানাতে পারে।