বাংলা হান্ট ডেস্ক : গত সপ্তাহ থেকেই নিখোঁজ ছিলেন মধ্যপ্রদেশের (Madhya Pradesh) জব্বলপুরে বিজেপি (BJP) নেত্রী সানা খান (Sana Khan)। অবশেষে জানা গেল, খুন হয়েছেন তিনি। তাঁকে হত্যার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁর স্বামীকে। জব্বলপুরের পুলিসের তরফে এমনটাই জানানো হয়েছে।
মহারাষ্ট্রে বিজেপির সংখ্যালঘু শাখার সভাপতি ছিলেন সানা। তিনি মধ্যপ্রদেশের জবলপুরে গিয়েছিলেন গত ১ আগস্ট। ব্যবসার সূত্রে অমিত ওরফে পাপ্পু সাহু নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে দেখা করতে। দু’দিনের মধ্যেই ফিরে আসার কথা ছিল তাঁর। কিন্তু তিনি আর ফেরেননি। ঘটনায় অভিযোগের তির ছিল পাপ্পুর দিকেই।
পাপ্পু সেখানকার কুখ্যাত এক অপরাধী। তাঁর সঙ্গে বেআইনি ব্যবসায় জড়িয়ে পড়েছিলেন সানা। তাই তাঁর নিখোঁজ হওয়ার পিছনে হাত থাকতে পারে পাপ্পুর, এমন সম্ভাবনাও ছিল। পরে প্রকাশ্যে আসে, ওই পাপ্পুই সানার স্বামী। তিনি আগেই তাঁকে খুনের হুমকি দিয়েছিলেন বলে খবর। পাপ্পুকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। জানা গিয়েছে, পুলিসি জিজ্ঞাসাবাদের ফলে তিনি তাঁর অপরাধ কবুলও করে নিয়েছেন। জানিয়েছেন, সানাকে মেরে তাঁর দেহ হিরণ নদীতে ভাসিয়ে দিয়েছিলেন তিনি।
নাগপুর থেকে জব্বলপুর যাব বলে বেরিয়েছিলেন বিজেপির মাইনোরিটি সেলের সদস্য সানা খান। পুলিস সূত্রে গত ১ আগস্ট জব্বলপুর যাব বলে বেরিয়ে যান সানা। ২ আগস্ট তিনি তাঁর আত্মীয় ইমরানকে ফোন করে বলেন তিনি জব্বলপুরে পৌঁছে গিয়েছেন। সেইদিনই সন্ধেয় তিনি ইমরানকে ফোন করে বলেন তাঁকে তার স্বামী অমিত সাহু ওরফে পাপ্পু মারধর করেছে। ওই কথা শুনেই ইমরান বিষয়টি সানার মাকে গোটা ঘটনা বলেন। তার পর থেকে সানার সঙ্গে আর যোগাযাগ করতে পারেনি পরিবার।
পুলিস সূত্রে খবর, ছমাস আগেই ধাবা মালিক অমিত সাহু ওরফে পাপ্পুকে বিয়ে করেন সানা খান। ২ আগস্ট জব্বলপুর পৌঁছে গিয়েছেন বলার পর মারধরের কথাও হয় ইমরানের সঙ্গে। তার পর থেকে আর কোনও যোগায়োগ করতে পারেননি সানার মা। তাঁর মোবাইল ফোনটি স্যুইচড অফ আসে। এরপরই নাগপুর পুলিসের কাছে গোটা ঘটনা জানিয়ে অভিযোগ দায়ের করে সানার পরিবার। অভিযোগ পাওয়ার পর নাগপুর পুলিস জব্বলপুর এসে পৌঁছয়। এরপরই পাপ্পুকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে পুলিস।