বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সন্দীপের কীর্তি যেন প্যান্ডোরার বাক্স! আরজিকর ( R G Kar) কাণ্ডে তোলপাড় রাজ্য। কর্মরত তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনার (Doctor Rape and Murder Case) সিবিআই এর ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদের মুখে পড়েছেন হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ (Sandip Ghosh former principal of R G Kar)। এদিকে এরই মাঝে হাসপাতালে আর্থিক দুর্নীতির মামলায় সিবিআই এর হাতে গ্রেফতার হয়েছেন সন্দীপ। বর্তমানে তার ঠিকানা হয়েছে প্রেসিডেন্সি জেল।
সন্দীপ কাণ্ডে বিস্ফোরক প্রমাণ গোয়েন্দাদের হাতে
আর জি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে তদন্ত চালাচ্ছে সিবিআই। একই সাথে ইডিও কোমর বেঁধে ময়দানে নেমেছে। আর দিন যত গড়াচ্ছে দুর্নীতিগ্রস্ত সন্দীপের একের পর এক ‘কীর্তি’ ফাঁস! আত্মীয়ের বাড়িতে সরিয়ে রাখা সন্দীপের ল্যাপটপ খুলতেই রীতিমতো যেন বোমা বিস্ফোরণ! আর জি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষর ল্যাপটপে মিলল একাধিক নগ্ন পুরুষের ছবি!
তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, তাদের হাতে পড়ায় ভয়ে এক আত্মীয়ের বাড়িতে সরিয়ে রাখা হয়েছিল সন্দীপের ব্যবহার করা ল্যাপটপ। তবে টানা তল্লাশিতে সেই ল্যাপটপ হাতে পেয়েছে ইডি। সূত্রের খবর, সন্দীপের ব্যক্তিগত সেই ল্যাপটপে রয়েছে গাদা গাদা নগ্ন পুরুষের ছবি। এক্সেল ফাইলে রয়েছে প্রচুর টাকার হিসেব। টেন্ডার সংক্রান্ত নথিও।
‘বিস্ফোরক’ প্রমাণ মিলতেই সন্দীপকে নিয়ে সন্দেহ বাড়ছে গোয়েন্দাদের। তাহলে কী সন্দীপ ঘোষ সমপ্রেমী? এই প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে। ওদিকে সম্প্রতি সন্দীপের আরেক কীর্তি সামনে এসেছে। জানা গিয়েছে ২০১৭ সালের হংকংয়ের কুইন এলিজাবেথ হসপিটালের এক মেল (পুরুষ) নার্সের শ্লীলতাহানি করেছিলেন বলে অভিযোগ। যার জেরে জেলও খাটতে হয় সন্দীপকে।
মেল নার্সের অভিযোগ ছিল,’ তিনি যখন পোশাক পরিবর্তন করছিলেন, তখন তিনি হঠাৎই তার চেম্বারে ঢুকে পড়েন। এরপরই তার নিতম্বে পর পর কয়েকটি চাপড় মারেন। বলেন ‘ডু ইউ লাইক ইট?’ এখানেই থেমে যাননি সন্দীপ। এমনকি ওই মেল নার্সের গোপনাঙ্গেও হাত দিতে যান! কোনোরকমে নিজেকে বাঁচান ওই নার্স। এরপরই তিনি অভিযোগ তোলেন।
আরও পড়ুন: ‘হাইকোর্টের দৃঢ় পদক্ষেপ হওয়া উচিত’! বিচারকদের আবাসনে দুষ্কৃতী হানা, তোলপাড় রাজ্য
যদিও সন্দীপের দাবি ছিল বিষয়টি শুধুমাত্র ‘মিস-আন্ডারস্ট্যান্ডিং।’ আর জি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপের দাবি ছিল, তিনি নাকি ব্যথা নিরাময়ের বিশেষ একটি ব্যায়াম ডেমনস্ট্রেট করে দেখাতে যাচ্ছিলেন। সেই সময় মেল নার্স তাকে ভুল বুঝেছে। সেই সময় কোনোরকমে ছাড়া পেয়েছিলেন সন্দীপ।