বাংলা হান্ট ডেস্ক : বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের মধ্যেই দুই ছাত্রের নামাজ পড়া নিয়ে দানা বাঁধল বিতর্ক। ঘটনাটি ঘটেছে গুজরাটের (Gujarat) ভাদোদরা শহরে। সে রাজ্যের মহারাজা সায়াজিরাও বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়। সে ভিডিওতে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে নামাজ পড়ছেন দুই ছাত্র। দিন দুয়েক আগেই এই বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্গত সংস্কৃত কলেজ চত্বরে এক দম্পতির নামাজ পড়ার একটি ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়। এরপর সেই নামাজ পড়ার জায়গায় গঙ্গাজল ছিটিয়ে এবং হনুমান চল্লিশা পাঠ করে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ বা ভিএইচপি (VHP)।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ মারফত জানা যাচ্ছে, তারা এই দুই ছাত্রকে ভবিষ্যতে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে নামাজ পড়ার অনুমতি দেবে না। তাদের বক্তব্য, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কোনও ধর্মীয় আচার পালন করা যাবে না। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, দুই ছাত্রের নামাজ পড়ার ঘটনাটি ঘটে সোমবার সকালে। বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ আধিকারিক লকুলিশ ত্রিবেদী বলেন, ঘটনাটি জানতে পেরে একটি ভিজিল্যান্স দল ঘটনাস্থলে যায় এবং আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে পুলিসকেও খবর দেওয়া হয়। ওই ভবনে তখন পরীক্ষা চলছিল। জানা গিয়েছে, ওই দুই পড়ুয়া বি.কম দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। তাঁরা পরীক্ষা কেন্দ্রে ঢোকার আগে নামাজ পড়েছিল। যেহেতু এখন তাঁদের পরীক্ষা চলছে, তাই তাঁদের পরে এর জন্য ডাকা হবে বলে বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে খবর। আগামী দিনে যাতে তাঁরা এই ধরনের কাজ না করেন তা তাঁদের বোঝানো হবে বলে জনসংযোগ আধিকারিক জানান।
Muslim man offers Namaz in MS University's campus, sparks controversy.#gujrat #vadodara #namaz #muslim pic.twitter.com/NBxJNpY8FU
— rajni singh (@imrajni_singh) December 26, 2022
অন্যদিকে, শনিবার কলেজ চত্বরে যে দম্পতিকে নামাজ পড়তে দেখা গিয়েছে সেই ঘটনায় তদন্ত করা হয়। তাতে জানা গিয়েছে, ওই দম্পতি তাঁদের সন্তানদের সঙ্গে সেখানে এসেছিলেন কোনও একটি পরীক্ষার জন্য। অবশ্য তাঁরা এই বিষয়ে কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছে ক্ষমা চেয়ে নেন বলে জানা যায়।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নামাজ পড়ার তীব্র বিরোধীতা করেছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। পরিষদের ভাদোদরা ইউনিটের সেক্রেটারি বিষ্ণু প্রজাপতি বলেন, ‘এ ধরনের ঘটনা ইচ্ছাকৃত এবং এটি ষড়যন্ত্র। মুসলিমরা এই ধরনের কার্যকলাপ করে হিন্দুদের প্রতি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিতে চায়। আমরা সেই চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করতেও প্রস্তুত। আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তাদের কাছে একটি বিস্তারিত স্মারকলিপি জমা দেব। ক্যাম্পাসে কড়া নিরাপত্তার ব্যাবস্থা করতে হবে।