বাংলা হান্ট ডেস্কঃ চারতলা পেল্লায় ইমারতের মালিক কেশবপুরের (Keshabpur) উপপ্রধান। অন্যদিকে, সদ্য প্রকাশিত আবাস যোজনায় নাম শাসকদলের সেই নেতার স্ত্রী, প্রয়াত বাবা সহ ভাই আলমগীর শেখ এবং অপর এক ভাই আজমগীর শেখের। তাজ্জব এই ঘটনায় চাওর হওয়ার পর থেকে শোরগোল পরে গেছে গোটা এলাকায়।
ঘটনাটি পূর্ব বর্ধমানের (Purba Bardhaman) খণ্ডঘোষ এলাকার। বৃত্তশালী হচ্ছেন আরও ধনী, অন্যদিকে দরিদ্ররা আরও তলিয়ে যাচ্ছে অন্ধকূপে। এলাকায় যাদের মাটির ঘর, তাদের নাম নেই আবাস যোজনায়! অন্যদিকে ইমারতের মালিক হয়ে নাম উঠেছে তালিকায়। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনায় অভিযুক্ত তৃণমূল উপপ্রধানের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন তৃণমূলেরই (TMC) স্থানীয় কর্মী-সমর্থকেরা।
এলাকার তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের একাংশের অভিযোগ, তারা গরিব হলেও আবাস যোজনার বাড়ি পাচ্ছেন না। তাদের কারও আছে মাটির বাড়ি। কারও আবার সেটাও ভেঙে গিয়েছে। কিন্তু এতকিছুর পরেও তাদের নামে আবাস যোজনার বাড়ি আসেনি। অভিযোগ, গরিব হলেও আবাস যোজনায় বাড়ি পাচ্ছেন না গ্রামের মানুষ। অথচ, আবাস যোজনার তালিকায় পঞ্চায়েতের উপপ্রধান জাহাঙ্গির শেখের পরিবারের সদস্যদের।
এই প্রসঙ্গে উপপ্রধান জাহাঙ্গিরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান , ‘‘আমি দলের কাজে ব্যস্ত থাকি। অফিসে খুব একটা যাই না। কে বা কারা তালিকা তৈরি করেছে, আমার জানা নেই। বিষয়টি নজরে আসা মাত্র নাম বাতিলের উদ্যোগ নিয়েছি।’’ অন্যদিকে, এই ‘অনিয়ম’ নিয়ে জাহাঙ্গিরের বিরুদ্ধেই আঙুল তুলেছেন পঞ্চায়েত প্রধান শিউলি খাঁ। তিনি বলেন, ‘‘আমাকে কোনও কাজ করতে দেওয়া হয়নি। পুরোপুরি নিষ্ক্রিয় করে রাখা হয়েছে আমাকে। জাহাঙ্গির শেখ নিজের ইচ্ছে মতো সব করছেন। এখানে আমার কোনও ভূমিকাই নেই। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে গোটাটা জানিয়েছি।’’
প্রসঙ্গত, গত মাসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও প্রশাসনিক কর্তাদের সতর্ক করে বলেছিলেন, ‘‘যার চার তলা বাড়ি রয়েছে, সে বাংলার বাড়ি পেয়ে গেল, আর যার কিছু নেই, সে পেল না। এটা চলবে না।’’ মুখ্যমন্ত্রীর কড়া হুঁশিয়ারির পরও এরূপ ঘটনা সামনে আসায় তাজ্জব সকলে। ঘটনার যথাযত তদন্তের দায়িত্ব নিয়েছে জেলাশাসক।