বাংলা হান্ট ডেস্কঃ নিয়োগ দুর্নীতির (Recruitment Scam) কিনারা করতে মরিয়া সিবিআই (CBI)। গত ডিসেম্বর মাসের শুরুতে সহ তেঘরিয়ায় তৃণমূল কাউন্সিলর দেবরাজ চক্রবর্তীর (Debraj Chakraborty) বাড়িতে তল্লাশি চালান সিবিআই আধিকারিকরা। এরপর গত ২৫ জানুয়ারি তাকে নিজাম প্যালেসে ডেকে পাঠিয়েছিল সিবিআই। গতকাল ফের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হয়েছিল তাকে। প্রায় ৬ ঘণ্টার জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় বিধায়ক তথা শিল্পী অদিতি মুন্সীর স্বামী দেবরাজকে।
সেই প্রথম থেকেই দেবরাজ দাবি করে আসছেন তিনি দুর্নীতির সাথে কোনও ভাবেই যুক্ত নন। গতকাল নিজাম থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েও একই দাবি করেন দেবরাজ। বলেন, তিনি দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত নন। প্রসঙ্গত, গত বছর নভেম্বর মাসে দেবরাজের বাড়িতে প্রথম হানা দিয়েছিল সিবিআই। তার বাড়ির পাশাপাশি স্ত্রী অদিতি মুন্সির গানের স্কুলেও তল্লাশি চালায় সিবিআই। টানা তল্লাশির পর সিবিআই সূত্রে দাবি করা হয়েছিল, সেখান থেকে টেটের কয়েকটি মার্কশিট,অ্যাডমিট কার্ড এবং বদলির আবেদনপত্র উদ্ধার করা হয়।
এদিন জেরা শেষে সাংবাদিকরা সেই প্রসঙ্গে প্রশ্ন করলে হাসি মুখেই দেবরাজ বলেন, “অ্যাডমিট কার্ড উদ্ধার হওয়া মনেই যে তা চাকরির জন্য ব্যবহার হয়েছে এটা কী করে প্রমাণ হয়? সবটাই তদন্ত সাপেক্ষ। ২০১২, ১০১৪, আমার কোনও ক্ষমতাই ছিল না, কাউকে চাকরি দেওয়ার মত জায়গায় ছিলাম না আমি। আমার সুপারিশে কোনো চাকরি হয় নি।”
তদন্তে পূর্ণ সহযোগিতা করার আশ্বাস দিয়ে দেবরাজ বলেন, “আমার পার্সোনাল কিছু তথ্য ওনারা স্ক্রুটিনি করছেন। আমার থেকে যা চাওয়া হয়েছিল আমি দিয়ে দিয়েছি। ফের কিছু চাইলে আমি দিয়ে দেব। একজন নাগরিকের কাজ তদন্তে সহযোগিতা করা। আমি সেটা পালন করেছি।”
আরও পড়ুন: তেড়ে আসছে ঝড়-বৃষ্টি! কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের ১১ জেলায় সতর্কতা: আজকের আবহাওয়ার খবর
এদিকে তৃণমূলেরই আরেক নেতা সন্দেশখালির শাহজাহান শেখ এখনও বেপাত্তা। অভিযুক্ত শেখ শাহজাহান প্রসঙ্গে প্রশ্ন করতেই তিনি বলেন, “কে কী করছে সেই বিষয়ে আমি কোনও মন্তব্য করব না। সেটা তার ব্যক্তিগত ব্যাপার। আমি দমদম-ব্যারাকপুর সাংগঠনিক জেলার দায়িত্বে আছি। সেই এলাকায় শেখ শাহজাহান পড়ে না। দলের নেতা হিসাবে ওকে ডাকা হয়নি, ব্যক্তি হিসাবে ডাকা হয়েছে। ও আসবে কী না সেই বিষয়ে দলের কোনো দায়িত্ব নেই। ”