বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আজ নন্দীগ্রামে (Nandigram) বিজয়া সম্মিলনী অনুষ্ঠানে যোগদান করতে চলেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) আর তার আগেই তৃণমূল (Trinamool Congress) বনাম বিজেপি (Bharatiya Janata Party) দ্বন্দ্বে শোরগোল ছড়িয়ে পড়লো গোটা এলাকায়। এক্ষেত্রে তৃণমূল কংগ্রেসের দলীয় পতাকা ছেঁড়া এবং তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের মারধরের অভিযোগ উঠেছে ভারতীয় জনতা পার্টির বিরুদ্ধে। একই সঙ্গে প্রতিবাদে নেমেছে ঘাসফুল শিবির। ফলে সব মিলিয়ে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি।
ঘটনার কেন্দ্রস্থল নন্দীগ্রামের মহেশপুর বাজার এলাকা। এদিন সকাল হতেই দেখা যায়, তৃণমূল কংগ্রেসের দলীয় পতাকা ছিঁড়ে রাস্তায় ফেলে দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনাতেই বর্তমানে বিজেপির দিকে অভিযোগের আঙ্গুল তুলেছে রাজ্যের শাসক দল। একইসঙ্গে এই ঘটনার প্রতিবাদে পথ অবরোধ পর্যন্ত করে দলীয় কর্মী সমর্থকরা, যার নেতৃত্ব দেন নন্দীগ্রাম ১ ব্লকের প্রাক্তন দলীয় সভাপতি স্বদেশ দাস।
তিনি বলেন, “গতকাল রাতে আমাদের দলীয় পতাকা ছিঁড়ে দিয়েছে বিজেপি। এমনকি দলের কর্মীদের মারধর পর্যন্ত করেছে ওরা আর তার প্রতিবাদ জানানোর জন্যই আমরা অবরোধে বসেছি।” যদিও এই অভিযোগটি উড়িয়ে দিয়েছে বিজেপি নেতৃত্ব। এই প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা প্রণয় পাল বলেন, “তৃণমূলের পায়ের নিচ থেকে মাটি ক্রমাগত সরে যাচ্ছে। সেই কারণে আমাদের দলের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হচ্ছে, যাতে ওরা নিজেদের অস্তিত্ব বজায় রাখতে পারে।”
প্রসঙ্গত, সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। তার আগে বাংলার বিভিন্ন প্রান্তে নিজেদের সংগঠন মজবুত করতে মরিয়া বিজেপি। বিশেষজ্ঞদের মতে, পুজোর সময় থেকে জনসংযোগে জোর দেওয়ার পাশাপাশি প্রতিটি পুজো কমিটিকে অনুদান দেওয়ার মাধ্যমে মজবুত পরিস্থিতিতে রয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। এই অবস্থায় অতীতে নির্বাচন গুলিতে একেই খারাপ ফল করেছে বিজেপি আর তার ওপর সংগঠন ক্রমাগত তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে; সেই কারণেই এদিন নন্দীগ্রামে শুভেন্দু অধিকারীর বিজয়া সম্মিলনী অনুষ্ঠান ঘিরে তৎপরতা তুঙ্গে। তবে এর মাঝেই এলাকায় তৃণমূল কংগ্রেসের পতাকা ছেঁড়া এবং পরবর্তীতে তাদের প্রতিবাদ মাঝে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠবে বলেই মত বিশেষজ্ঞদের।