বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বুধবার রাত থেকেই অগ্নিগর্ভ নন্দীগ্রাম (Nandigram)। বিজেপিরমহিলা কর্মী রথীবালা আড়ির খুনের পর কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় শুভেন্দু অধিকারীর বিধানসভা কেন্দ্র। শনিবার এখানে নির্বাচন হচ্ছে। সকাল থেকেই নানান এলাকা থেকে গণ্ডগোলের খবর আসছে। তবুও ভয় না পেয়ে ভোট দিতে বেরোলেন রথীবালাদেবীর কন্যা মঞ্জু আড়ি।
এদিন সকাল ৯টা নাগাদ বাড়ি থেকে বেরোন মঞ্জু। ভজহরি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভোট দিতে যান তিনি। তার আগে মায়ের মৃত্যু নিয়ে সরব হন রথীবালাদেবীর কন্যা। পুলিশের বিরুদ্ধে সরব হওয়ার পাশাপাশি সিবিআই (CBI) তদন্তের দাবি জানানোর কথাও বলেন তিনি।
বুধবার রাতে বিজেপি (BJP) কর্মী রথীবালা আড়িকে কুপিয়ে, পিটিয়ে খুনের অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। তাঁর ছেলেকেও ব্যাপক মারধর করা হয়। বর্তমানে ভেন্টিলেশনে ভর্তি তিনি। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার জ্বলে ওঠে নন্দীগ্রাম। এবার সেই ঘটনা নিয়েই সরব হলেন মঞ্জু। পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলেন, ‘পুলিশের পায়ে ধরেছিলাম। তা সত্ত্বেও ওরা নিয়ে যায়নি। দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে শুধু দেখেছে’।
আরও পড়ুনঃ আবহাওয়ার ৩৬০ ডিগ্রি পাল্টি! রবিবার ‘খেল’ দেখাবে রেমাল! কোথায় সবচেয়ে বেশি তাণ্ডব? জানাল হাওয়া অফিস
আজ ভোট দিতে যাওয়ার আগে মঞ্জু বলেন, ‘এই ভোটের জন্য আমার মা-কে শেষ করে দিল। সেই জন্য আমি তাড়াতাড়ি ভোট দিতে চাই। ওদের কী বিশ্বাস আছে? আমাকেও তো মেরে দিতে পারে। যারা মেরেছে পুলিশ তাঁদের সুরক্ষা দিচ্ছে। ধরছে না। দেবু রায়কে ধরে কাল ছেড়ে দিল। তাকে ধরেওনি। সে নিজেই থানায় গিয়েছে। তাঁকে বাড়িতে ছেড়ে এল। FIR-এ যাদের নাম রয়েছে তাঁদের ওরা ধরেনি। ছেড়ে দিচ্ছে। আর আমাদের কর্মীদের ধরছে। আমাকেও যে ধরবে না তার কোনও মানে আছে? আমি তাই তাড়াতাড়ি ভোট দিয়ে বাড়িতে থাকতে চাই। কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি, পুলিশ সুরক্ষা দিয়ে রেখেছে’।
এরপরেই তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে উস্কানির অভিযোগ এনে মঞ্জু বলেন, ‘ওঁদের কেন গ্রেফতার করা হয়নি সেটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার বলতে পারবে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তো এখানে উস্কে দিয়ে গেলেন। সেই জন্যই তো আমার মা-দাদাকে ওরা মারল’।
এদিন CBI তদন্তের দাবি জানানোর কথাও বলেন মঞ্জু। রথীবালাদেবীর কন্যা বলেন, ‘আদালতে যাব। ৪ তারিখের পর, ভোট শেষ হলে সব জায়গায় যাব। প্রয়োজন পড়লে দিল্লিতেই যাব। ম মরার প্রতিশোধ নেব’। মঞ্জুর সংযোজন, ‘শুভেন্দুদা আমায় যেখানে নিয়ে যাবেন আমি সেখানেই যাব। দরকার হলে দিল্লিতে যাব। আমার মায়ের মৃত্যুর প্রতিশোধ নেব। CBI তদন্তের দাবি জানাব। রাজ্য সরকার, পুলিশের ওপর আমার আস্থা নেই। পুলিশ দাঁড়িয়ে থেকে আমার মা, দাদাকে ওরা মারল। পুলিশের পায়ে ধরেছিলাম, তবু নিয়ে যায়নি। দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখেছে। যে আমার মা-দাদাকে আনতে যাচ্ছে, তৃণমূলের লোকজন তাঁদেরই মারছে। এখানে পুলিশ দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখছে’।