বাংলাহান্ট ডেস্কঃ তৃণমূল যে এত আসন পাবে, সেটা স্বয়ং দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও ভাবেন নি। তিনি নিজের মুখেই বলেছেন যে, জিতব জানতাম, এত আসন নিয়ে জিতব ভাবিনি। তবে গোটা বঙ্গে দিদির ঝড় থাকলেও একুশের নির্বাচনের এপি সেন্টার নন্দীগ্রামে হারের মুখ দেখতে হল তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। বিজেপি নেতা তথা একসময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সৈনিক শুভেন্দু অধিকারীর কাছে ১ হাজার ৯৫৬ ভোটে হারলেন খোদ তৃণমূল সুপ্রিমো।
নন্দীগ্রামে দলনেত্রীর হার মেনে নিতে পারেনি তৃণমূল। আর সেই কারণে তাঁরা কমিশনের কাছে পুনর্গণনার আবেদন জানায়। যদিও কমিশন তাঁদের আবেদন খারিজ করে দিয়েছে। কমিশন স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে যে, পুনর্গণনা সম্ভব নয়। রবিবার বিকেলের দিকে জানা গিয়েছিল যে, বারোশ ভোটে শুভেন্দুকে হারিয়ে দিয়েছেন মমতা। তবে সন্ধের দিকে কমিশনের তরফ থেকে শুভেন্দু অধিকারীকে জয়ী ঘোষণা করা হয়। এরপরই ওই কেন্দ্রে ইভিএম কারচুপির অভিযোগ তুলে পুনর্গণনার আবেদন জানায় তৃণমূল।
শাসক দল জানায় যে, গণনায় কারচুপি হয়েছে। আমাদের অনেক ভোটকে অবৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। আর বিজেপি অবৈধ ভোটগুলিকে বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। তৃণমূল এও বলে যে, গণনার সময় বেশ কিছুক্ষণ সার্ভার বন্ধ ছিল। কিন্তু তৃণমূলের সমস্ত অভিযোগ খারিজ করে রিটার্নিং অফিসার জানান যে, প্রতিটি রাউন্ডের গণনার শেষে তৃণমূলের এজেন্টরা স্বাক্ষর করে সম্মতি জানিয়েছেন। যদি কারচুপিই হত, তাহলে তাঁরা সই করল কেন?
নির্বাচন কমিশন অনুযায়ী, নন্দীগ্রামে শুভেন্দু অধিকারী পেয়েছেন ১ লক্ষ ৯ হাজার ৬৭৩টি ভোট। আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পেয়েছেন ১ লক্ষ ৭ হাজার ৯৩৭টি ভোট। এছাড়াও পোস্টাল ব্যালটে শুভেন্দু পেয়েছেন ১ হাজার ৯১টি ভোট আর মমতা পেয়েছেন ৮৭১টি ভোট। ভোট শতাংশ হিসেবে শুভেন্দু পেয়েছেন ৪৮.৪৯ শতাংশ ভোট। আর মমতা পেয়েছেন ৪৭.৬৪ শতাংশ ভোট।