বাংলাহান্ট ডেস্ক: সোশ্যাল মিডিয়ার হালহকিকত নিয়ে অবগত, তারা নন্দিনী দিদিকে (Nandini Didi) নিশ্চয়ই মনে রেখেছেন? ডালহৌসি চত্বরে এক চিলতে ভাতের হোটেলের নন্দিনী দিদি রাতারাতি ভাইরাল হয়ে গিয়েছিলেন নেটদুনিয়ায়। ইউটিউব (YouTube) থেকে ফেসবুক খুললেই শুধু দেখা মিলত জিন্স আর কালো টিশার্ট পরা স্মার্ট নন্দিনী দিদির। ভাইরাল হয়ে কপাল খুলে গিয়েছিল তাঁর।
ছোট্ট হোটেলে কাস্টমারদের উপচে পড়া ভিড় থেকে শুরু করে দিদি নাম্বার ওয়ান পর্যন্ত পৌঁছে গিয়েছিলেন নন্দিনী। উত্তরোত্তর বাড়ছিল তাঁর জনপ্রিয়তা। তেমনি বিতর্কও পিছু নিয়েছিল তাঁর। কিন্তু বিতর্ককে সাইড করে জনপ্রিয়তা ধরে রাখতে পেরেছেন তিনি। এখন আর আগের মতো তাঁর হোটেলে ইউটিউবারদের ভিড় হয় না ঠিকই, কিন্তু এতদিনে নিজস্ব পরিচিতি বানিয়ে ফেলেছেন নন্দিনী।
নিজেই একখানা ইউটিউব চ্যানেল খুলে ফেলেছেন তিনি। তাঁর চ্যানেলের নাম ‘নন্দিনী দিদি অফিশিয়াল’। ৫ মাসে ১৭ হাজার সাবস্ক্রাইবার হয়ে গিয়েছে তাঁর ইউটিউব চ্যানেলে। দিদি নাম্বার ওয়ান নিয়েই প্রথম ভিডিওটি বানিয়েছিলেন নন্দিনী। তারপর থেকে আর থামেননি তিনি। ভিডিওতে ভিউও হয় হাজার থেকে লাখ খানেক।
নিজের হাতে রান্না থেকে বিয়ে বাড়ির খাবার রিভিউ, মেলা ভ্লগের পাশাপাশি ট্রাভেল ভ্লগিংও শুরু করে দিয়েছেন নন্দিনী। মাস খানেক আগে সুন্দরবন ভ্রমণ ভ্লগ আপলোড করেছেন তিনি। নন্দিনীর এই নতুন অবতার বেশ পছন্দ করছেন দর্শকরা। তবে দোকান সামলে চ্যানেলে কম ভিডিওই শেয়ার করতে পারেন নন্দিনী।
প্রসঙ্গত, দিদি নাম্বার ওয়ানে এসে নন্দিনী দিদি জানিয়েছিলেন, আগে তাঁদের আর্থিক অবস্থা বেশ ভালোই ছিল। ব্যবসা ছিল বাবার। তিনি নিজে ফ্যাশন ডিজাইনিং নিয়ে পড়াশোনা করেছেন। ছোট দুই বোন ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ছে। কিন্তু নোটবন্দির সময়ে সবকিছু বদলে যায়।
ব্যবসা বন্ধ হয়ে যায় নন্দিনীর বাবার। বিক্রি করতে হয় বাড়ি। হাত পড়ে মায়ের গয়নায়। শেষে দৈনিক ২০০ টাকায় ডালহৌসিতে চাকরি নেন নন্দিনীর বাবা। তিনি নিজে কলকাতার বাইরে চাকরি পেয়ে চলে গিয়েছিলেন। এদিকে তাঁর বাবা ভাতের হোটেল খুলেছিলেন বলে জানান নন্দিনী। কিন্তু হঠাৎ করেই তাঁর মা অসুস্থ হয়ে পড়ায় চাকরি ছেড়ে কলকাতায় ফিরে আসেন তিনি। বাবার পাশে দাঁড়াতে কাজ শুরু করেন ওই ভাতের হোটেলে।