বাংলাহান্ট ডেস্ক: বিগত মাস খানেক ধরে সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে একটাই নাম ঘুরপাক খাচ্ছে, নন্দিনী দিদি (Nandini Didi)। ডালহৌসির অফিস পাড়া থেকে তিনি পৌঁছে গিয়েছেন দিদি নাম্বার ওয়ানের মঞ্চে। নন্দিনী ওরফে মমতা গঙ্গোপাধ্যায়ের পাইস হোটেলের চর্চা এখন সবার মুখে মুখে। কিন্তু যাঁকে নিয়ে এত গুঞ্জন তিনি নিজে কতজনকে চেনেন?
দিদি নাম্বার ওয়ানে নন্দিনী দিদিকে দেখেই অনেকে কটাক্ষ করতে শুরু করেছিলেন, এবার তাঁর বায়োপিকও চলে আসবে মার্কেটে। এবার বাস্তবিকই এক ইউটিউবার প্রসঙ্গ তুললেন নন্দিনী দিদির বায়োপিক নিয়ে। ভাইরাল দিদির কাছে তাঁর প্রশ্ন ছিল, নিজের বায়োপিক হলে মুখ্য চরিত্রে কাকে দেখতে চাইবেন? মিমি চক্রবর্তী নাকি নুসরত জাহান?
নুসরতকে তো পত্রপাঠ বাতিল করে দিলেন নন্দিনী। কিন্তু চমকের তখনো বাকি ছিল। মিমির নাম শুনে চিনতেই পারলেন না নন্দিনী দিদি! সটান জিজ্ঞাসা করে বসলেন, মিমিটা কে? ‘বোঝেনা সে বোঝেনা’ ছবির নাম বলাতেও চিনতে পারলেন না তিনি। তবে ক্যামেরার দিকে তাকিয়ে তিনি হাতজোড় করে বলে ওঠেন, কোনো কন্ট্রোভার্সি চান না তিনি।
কিন্তু নন্দিনী দিদির মন্তব্যে চমকে উঠেছেন নেটিজেনরা। টলিউডের জনপ্রিয়তম অভিনেত্রীদের মধ্যে একজন মিমি। পাশাপাশি তিনি তৃণমূলের সাংসদও বটে। অত্যন্ত পরিচিত মুখ। তাঁকেই কিনা চেনেন না বলে দাবি করছেন নন্দিনী দিদি! কেউ কেউ আবার তাঁকে রানু মণ্ডলের সঙ্গে তুলনা করেছেন।
প্রসঙ্গত, দিদি নাম্বার ওয়ানে এসে নন্দিনী দিদি জানিয়েছিলেন, আগে তাঁদের আর্থিক অবস্থা বেশ ভালোই ছিল। ব্যবসা ছিল বাবার। তিনি নিজে ফ্যাশন ডিজাইনিং নিয়ে পড়াশোনা করেছেন। ছোট দুই বোন ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ছে। কিন্তু নোটবন্দির সময়ে সবকিছু বদলে যায়।
ব্যবসা বন্ধ হয়ে যায় নন্দিনীর বাবার। বিক্রি করতে হয় বাড়ি। হাত পড়ে মায়ের গয়নায়। শেষে দৈনিক ২০০ টাকায় ডালহৌসিতে চাকরি নেন নন্দিনীর বাবা। তিনি নিজে কলকাতার বাইরে চাকরি পেয়ে চলে গিয়েছিলেন। এদিকে তাঁর বাবা ভাতের হোটেল খুলেছিলেন বলে জানান নন্দিনী। কিন্তু হঠাৎ করেই তাঁর মা অসুস্থ হয়ে পড়ায় চাকরি ছেড়ে কলকাতায় ফিরে আসেন তিনি। বাবার পাশে দাঁড়াতে কাজ শুরু করেন ওই ভাতের হোটেলে।