বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গতকাল বিজেপির (BJP) কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের তরফ থেকে দেওয়া হয় এক চমক। সম্প্রতি রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী হিসেবে দ্রৌপদী মুর্মুর (Draupadi Murmu) নাম ঘোষণা করা হয়েছে। এর মাঝে জল্পনা শুরু হয়, তবে উপরাষ্ট্রপতি পদে বিজেপির মুখ কে? শেষ পর্যন্ত গতকাল সকল জল্পনার অবসান ঘটিয়ে বাংলার রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের (Jagdeep Dhankar) নাম ঘোষণা করে কেন্দ্র। ফলে স্বাভাবিকভাবেই বর্তমানে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে যে, ধনকড়ের পর বাংলার রাজ্যপাল পদে কে বসবেন? ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটি নামও সামনে এসে চলেছে। তবে এক্ষেত্রে বাংলার পরবর্তী রাজ্যপাল হিসেবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) একসময়ের বিজেপি সতীর্থের নামই এক্ষেত্রে উঠে আসতে শুরু করেছে।
উল্লেখ্য, গতকাল বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব দ্বারা উপরাষ্ট্রপতি পদে জগদীপ ধনকড়ের নাম ঘোষণা করার পরে গোটা রাজ্য জুড়ে জল্পনা সৃষ্টি হতে থাকে। সামনেই লোকসভা নির্বাচন। তার পূর্বে রাজভবনে তাঁকে নিয়োগ করার মাধ্যমে শেষ পর্যন্ত কোন চাল দেয় বিজেপি, এ নিয়ে শুরু হয় বিস্তর জল্পনা। তবে বর্তমানে এই দৌড়ে উত্তরপ্রদেশের মুসলিম নেতা মুখতার আব্বাস নকভি এগিয়ে রয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে।
এক্ষেত্রে লোকসভা নির্বাচনকে মাথায় রেখে বাংলায় ভালো ফল করতে তৎপর বিজেপি। সেই কারণে সংখ্যালঘু ভোটের কথা চিন্তা করে নকভিকেই শেষ পর্যন্ত রাজ্যপাল পদে নিয়োগ করা হবে বলে মত বিশেষজ্ঞদের। প্রসঙ্গত, রাজ্যপাল নিয়োগের পূর্বে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দ্বারা যে কোন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকেই জানানো হয়। তবে ২০১৯ সালে জগদীদ ধনকড়কে নিয়োগের সময় সেই সৌজন্যতা রক্ষা করা হয়নি বলে অভিযোগ তোলে তৃণমূল কংগ্রেস। এরপর থেকেই রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত আরো বৃহত্তর রূপ ধারণ করে। প্রতিটি ক্ষেত্রে শাসক দল এবং রাজ্যপালের মধ্যে দ্বন্দ্বের সাক্ষী থাকে গোটা বাংলা। তবে বর্তমানে মুসলিম নেতা নকভিকে নিয়োগ করে কি পাল্টা চাল দিতে চলেছে বিজেপি?
এক্ষেত্রে বলে রাখা ভালো, জগদীপ ধনকড়ের তুলনায় রাজনৈতিক কৌশল এবং অভিজ্ঞতায় বেশ খানিকটা এগিয়ে রয়েছেন মুখতার আব্বাস নকভি। বাজপেয়ী আমলে মন্ত্রীসভায় যখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যুক্ত ছিলেন, সেই সময় তাঁর সতীর্থ নকভি বাংলায় এসে কোন রুপে ধরা দেন, সেই প্রশ্নচিহ্নটি বারেবারে উঠে চলেছে। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, এক্ষেত্রে ধনকড়ের মতো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সরাসরি বিতর্কের পথে হাঁটবেন না তিনি। এছাড়াও বাংলায় সংখ্যালঘু ভোট যেখানে শাসকদলের প্রধান অস্ত্র, ভবিষ্যতে কেন্দ্র সেটিকেই হাতিয়ার করতে চলেছে বলে মনে করা হচ্ছে।