বাংলাহান্ট ডেস্কঃ ছয় ঘণ্টা টানা নিজাম প্যালেসে বসে থাকার পর অবশেষে বেরিয়ে এলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বেরিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমি এখন এখানে আর কিছু বলব না। যা বলার আদালতে বলব। ওখানেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।” বলে দিই, সকাল সকাল তৃণমূলের ২ মন্ত্রী ১ বিধায়ক এবং কলকাতার প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়কে সিবিআই গ্রেফতার করার পর নিজাম প্যালেসে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনকি তিনি এও বলেছিলেন যে, ‘আমাকেও গ্রেফতার করো। শেষ না দেখা পর্যন্ত আমি সিবিআই দফতর ছাড়ব না।”
আরেকদিকে, নেতাদের গ্রেফতারী ইস্যুতে তৃণমূলের পাশে দাঁড়াল রাজ্যের প্রাক্তন শাসক দল সিপিএম। তাঁরা একটি বিবৃতি জারি করে বলে, এই মহাসংকটের সময় গ্রেফতার রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। কেন্দ্র সরকার নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতে এই কাজ করেছে।
আরেকদিকে, নিজাম প্যালেসের পর রাজভবনের সামনে গিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা। তাদের মতে, এমনিতেই যখন রাজ্যে সৃষ্টি হয়েছে রীতিমতো জটিল পরিস্থিতি। তখন একের পর এক টুইট করে সেই আগুনে ঘি ঢালার কাজ করছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর। সূত্রের খবর অনুযায়ী রাজভবনের একদম গেটের সামনেই বসে পড়েন তারা। শুধু তাই নয় অনেকে গেট ভেঙে ঢোকার চেষ্টা করেন বলেও অভিযোগ।
বিক্ষোভকারীদের দাবি, যতক্ষণ অভিযুক্তদের ছাড়া না হবে ততক্ষণ তারা রাজভবনের সামনে থেকে নড়বেন না। রাজভবনের সব গেটের সামনেই বর্তমানে বিক্ষোভ চলছে তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের। রাজ্যপাল টুইট করার আগে নিজাম প্যালেসের সামনে অবস্থান বিক্ষোভ করছিলেন কর্মীরা। পুলিশের দিকে ইট, কাচের বোতলে ছোঁড়া হয় বলে অভিযোগ। ইতিমধ্যেই অবশ্য বিক্ষোভ নিয়ন্ত্রণে মোতায়েন করা হয়েছিল বিপুল কেন্দ্রীয় বাহিনী। তবে রাজ্যপালের এই ট্যুইটের পর ফের একবার অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠল পরিস্থিতি। এখন এ বিষয়ে নতুন কি সমীকরণ তৈরি হয় সেদিকে নজর থাকবে সকলের।
‘ভারত আজ পর্যন্ত অলিম্পিকে সোনা পায়নি …’ ভরা মঞ্চে বেফাঁস মমতা