বাংলা হান্ট ডেস্ক: কোনো লক্ষ্যপূরণের জন্য যেটা সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন হয় সেটা হল মনের জোর। আর এর ওপর ভর করেই মানুষ করে ফেলতে পারে একের পর এক অসাধ্য সাধন। এমনকি, তখন বয়সের বেড়াজালও কোনো প্রভাব বিস্তার করতে পারে না। নিজের ওপর বিশ্বাস রেখে তাই মাঝেমধ্যেই কিছু মানুষ এমন সব নজির তৈরি করেন যা অনুপ্রাণিত করে সবাইকেই। সেই রেশ বজায় রেখেই এবার এক অবাক করা খবর সামনে এসেছে। জানা গিয়েছে, সত্তর বছর বয়সেই ইঞ্জিনিয়ারিং পরীক্ষায় বসে ৯৫ শতাংশ নম্বর পেলেন কর্নাটকের (Karnataka) উত্তর কন্নড় (Utter Kannada) জেলার বাসিন্দা নারায়ণ এস ভট্ট। শুধু তাই নয়, সবাইকে অবাক করে দিয়ে ওই পরীক্ষায় প্রথম স্থান অধিকার করে “টপার”-ও হন তিনি।
আর এভাবেই তিনি ফের একবার প্রমাণ করে দেখালেন যে, মনে অদম্য জেদ থাকলেই বয়স নিছকই একটা সংখ্যামাত্র। এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, ১৯৭৩ সালে সরকারি পলিটেকনিক কলেজে ভর্তি হয়েছিলেন নারায়ণ এস ভট্ট। সেই সময়ে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ডিপ্লোমা করতে গিয়ে পরীক্ষায় দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেন তিনি। যদিও, তিনি চেয়েছিলেন প্রথম হতে। এতদিন যাবৎ তিনি সেই ইচ্ছে লুকিয়ে রেখেছিলেন মনের ভেতরে।
এমতাবস্থায়, তিনি স্থির করেন যে, কর্মজীবন থেকে অবসর নেওয়ার পর তিনি ফের একবার ইঞ্জিনিয়ারিং পরীক্ষায় বসবেন। পরিকল্পনা অনুযায়ী, কলেজে ভর্তি হয়ে আবারও পুরোদমে পড়াশোনা শুরু করে দেন নারায়ণ। আর তার ওপর ভর করেই পরীক্ষায় তাঁর এহেন ফলাফল স্তম্ভিত করেছে সবাইকে।
এই প্রসঙ্গে নারায়ণ জানান, কর্মজীবন শেষে এই বয়সেই পরিবারের সদস্যদের কাছে ফের একবার কলেজে পড়ার ইচ্ছা জানিয়েছিলেন তিনি। এমতাবস্থায়, তাঁর কথা শুনে প্রথমে সবাই অবাক হলেও পরে তাঁর এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানান সদস্যরা। পাশাপাশি, পরিবারের সহযোগিতা ছাড়া এই সাফল্য কার্যত অসম্ভব ছিল বলেও জানান নারায়ণ।
উল্লেখ্য যে, তিনি তাঁর কর্মজীবনে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের একাধিক সংস্থায় দক্ষতার সাথে কাজ করেছেন। পাশাপাশি, তাঁর দুই মেয়েও ইঞ্জিনিয়ার। তাঁদের মধ্যে এক জন আয়ারল্যান্ডে এবং অন্য জন আমেরিকায় চাকরি করছেন বলে জানা গিয়েছে। এদিকে, এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই নারায়ণের এহেন কৃতিত্বের ফলে তাঁর ভূয়সী প্রশংসা করছেন সকলেই।