বাংলাহান্ট ডেস্ক : ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং (Manmohan Singh) ছিলেন একজন নামকরা অর্থনীতিবিদ। তার আমলে ভারতীয় অর্থনীতি বিশ্বের দশম বৃহত্তম অর্থনীতিতে পরিণত হয়। এর পর ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচিত হন নরেন্দ্র মোদি। পরিসংখ্যান বলছে, বর্তমানে ভারতীয় অর্থনীতি বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতি হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করেছে। সোমবার রাজকোটে (Rajkot) গুজরাট বিধানসভা ভোটের (Gujarat Assembly Poll) প্রচারে গিয়ে একথাই বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi)।
আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে গুজরাটের মোট ১৮২টি আসনের মধ্যে প্রথম দফায় নির্বাচন হবে ৮৯টি আসনে। ১ ডিসেম্বরে হবে ভোট। রাজকোটে বিজেপি প্রার্থীর সমর্থনে প্রচারে গিয়ে নিজের সঙ্গে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের আমলের তুলনা করলেন মোদি। নিজের ভাষণে মোদি বলেন, ‘২০১৪ সালে আমি প্রধানমন্ত্রীর চেয়ারে বসার আগে ১০ বছর ক্ষমতায় ছিল কংগ্রেস (Congress)। ২০০৪ সালে যখন মনমোহন সিং প্রধানমন্ত্রী হন তখন ভারত ছিল বিশ্বের ১১তম অর্থনীতি। পরবর্তী দশ বছরের কাজের ভিত্তিতে দশম বৃহত্তম অর্থনীতি হয় ভারত।’
প্রধানমন্ত্রী এদিন আরও বলেন, নিজেকে অর্থনীতিবিদ মনে করেন না তিনি, কিন্তু দেশবাসীর শক্তিকে বিশ্বাস করেন। তিনি বলেন, ‘২০১৪ সালে এক ‘চাওলা’কে দায়িত্ব দিয়েছিলেন আপনারা। আমি কখন নিজেকে অর্থনীতিবিদ দাবি করিনি। কিন্তু দেশবাসীর শক্তির উপর আমার সম্পূর্ণ আস্থা রয়েছে। গত ৮ বছরে দশম স্থান থেকে ভারতীয় অর্থনীতি বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতিতে পরিণত হয়েছে।’ এরপরই তিনি প্রশ্ন করেন, ‘তাহলে আপনারাই তুলনা করুন। দশ বছরে দশ থেকে ১১তম স্থানে পৌঁছানো আর আট বছরে দশম থেকে পঞ্চম স্থানে পৌঁছনো কোনটা ভালো।’
গুজরাটে প্রচার চালাচ্ছেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী মোদি। কিন্তু অদ্ভুত ভাবে প্রচারে দেখা যাচ্ছে না রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রুপানিকে। আগেই শোনা গিয়েছিল ছিল ভোটে দাঁড়াতে চান না বলে কার্যত জোর করেই মুচলেখা লেখান হয় রুপানিকে। সেই কারণেই নাকি ক্ষোভে ও অভিমানে প্রচারেই নামছেন না তিনি। এমনকী নিজের ছেড়ে আসা কেন্দ্র রাজকোট (Rajkot) পশ্চিমে দলের প্রার্থীর হয়েও প্রচারে দেখা যায়নি।