বাংলাহান্ট ডেস্ক : কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুরকে (Shashi Tharoor) নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বক্তব্যে আবারও চর্চায় শুরু রাজনৈতিক মহলে। সম্প্রতি কেরলের ভিঝিমজাম আন্তর্জাতিক বন্দরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দুজনেই। আর সেখানেই থারুরের (Shashi Tharoor) নামোল্লেখ করে মোদীর মন্তব্য, এখানে কংগ্রেস সাংসদের উপস্থিতি অনেকের রাতের ঘুম কেড়ে নেবে। বার্তা যেখানে পৌঁছানোর পৌঁছে গিয়েছে।
কেরলে অনুষ্ঠানে শশী থারুরকে (Shashi Tharoor) নিয়ে বার্তা নরেন্দ্র মোদীর
সাম্প্রতিক সময়ে দলে, কেরল কংগ্রেসে থারুরের জায়গা নিয়ে চলছে জল্পনা। রাজ্য নেতৃত্বের থেকে এখানে নিজের পৃথক পরিচয় তুলে ধরেছেন তিনি। বিশেষ করে বিমানের দেরি হওয়ার পরেও তিরুবনন্তপুরম বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে ব্যক্তিগত ভাবে স্বাগত জানিয়েছেন শশী থারুর(Shashi Tharoor)। তা নিয়ে যেমন তুমুল চর্চা হয়েছে, ঠিক সেই সময়েই দলের রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে তাঁর সংঘাতও বিশেষ ভাবে নজর কেড়ে নিয়েছে।
দলে সংঘাত বাড়ছে থারুর এবং নেতৃত্বদের: সম্প্রতি রাজ্য কংগ্রেস ইউনিটে নেতৃত্ব শূন্যতা নিয়ে প্রকাশ্যে অভিযোগ করেন শশী থারুর। এ বিষয়ে রাহুল গান্ধী সহ দলের সিনিয়র নেতৃত্বদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন তিনি। তবে দলে তাঁর ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনা ফলপ্রসূ হয়নি। এমতাবস্থায় অনুষ্ঠানে নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে একই মঞ্চে তাও উপস্থিত থাকা যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়েই বিচার করছে ওয়াকিবহাল মহল।
দেশের অন্যতম উচ্চাকাঙ্ক্ষী প্রোজেক্ট ভিঝিনজাম: জানিয়ে রাখি, দেশের সবথেকে বড় প্রোজেক্টগুলির মধ্যে অন্যতম কেরলের ভিঝিনজাম আন্তর্জাতিক সমুদ্রবন্দর। প্রায় ৮,৮৬৭ কোটি টাকা ব্যয়ে তৈরি আন্তর্জাতিক বন্দরটি পাবলিক প্রাইভেট অংশীদারিত্বে তৈরি হচ্ছে।
আরো পড়ুন : ‘যতক্ষণ না শহিদদের ঋণ শোধ হচ্ছে আমরা ব্যক্তিগত আনন্দ করতে পারি না’, দিলীপ প্রসঙ্গে স্পষ্ট জবাব শুভেন্দুর
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এর আগেও কংগ্রেসের অন্দরে ক্ষোভ পুঞ্জীভূত হয়েছে থারুরকে নিয়ে। নেতৃত্বের সমালোচনাতেও অবতীর্ণ হয়েছেন তিনি। ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের ভরাডুবির পর শীর্ষ নেতৃত্বের সমালোচনা করে চিঠি প্রদানের তালিকায় তাঁর নাম ছিল অন্যতম। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ হতে দেখা গিয়েছে। এমনকি কেরলের পিনারাই বিজয়নের সরকারকেও বাহবা দিতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। এ নিয়েও কংগ্রেসের অন্দরে ক্ষোভ জন্মেছে।