দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রথম অতিথি হবেন মোদী! ৫ টি কারণে বিশেষ গুরুত্ব পাবে এই সফর

বাংলা হান্ট ডেস্ক: সোমবার নরেন্দ্র মোদীর (Narendra Modi) সঙ্গে ফোনে কথোপকথন হয় ডোনাল্ড ট্রাম্পের। আর তারপরেই জানা গিয়েছে আগামী মাসে অর্থাৎ ফেব্রুয়ারিতে প্রধানমন্ত্রী আমেরিকা সফরে যেতে পারেন। একথা জানিয়েছেন খোদ আমেরিকার নতুন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে এই আপডেট সামনে আসার পর থেকেই জল্পনা সৃষ্টি হয়েছে। আন্তর্জাতিক মহলের বিশেষজ্ঞদের একাংশ মনে করছেন, মোদীর এই মার্কিন সফর আন্তর্জাতিক কূটনীতি এবং ভারত-আমেরিকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে। পাশাপাশি, আরও দাবি করা হচ্ছে এই সফরে, মোট ৫ টি বিষয়ের উপর আলোকপাত করা হতে পারে।

মোদীর (Narendra Modi) আমেরিকা সফরে কোন ৫ টি বিষয় হতে চলেছে গুরুত্বপূর্ণ:

প্রথমত, নরেন্দ্র মোদীর (Narendra Modi) আসন্ন আমেরিকা সফরে ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল এবং পশ্চিম এশিয়ায় ভারত ও আমেরিকার কৌশলগত অবস্থান কী হতে চলেছে সেদিকে নজর থাকতে পারে। কারণ ভারত এবং আমেরিকার বিশেষ কিছু লক্ষ্য একই। যেমন হচ্ছে- দুই দেশই চিনকে নিয়ে উদ্বিগ্ন। পাশাপাশি, উভয় দেশই চায় সৌদি-ইজরায়েলের মধ্যে একটি শান্তিপূর্ণ সমঝোতা হোক। শুধু তাই নয়, ইউক্রেন যুদ্ধ শেষ হয়ে শান্তি ফিরে ফিরুক এমনটাই চাইছে ভারত-আমেরিকা। তাই এক্ষেত্রে, এই বিষয়টির বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হতে পারে।

Narendra Modi and Trump's meeting may focus on these five issues

দ্বিতীয়ত হচ্ছে, ট্রাম্পের সঙ্গে ভারতের বিষয় মোদী (Narendra Modi) বিস্তর আলোচনা করতে পারেন। কারণ এই মুহূর্তে আমেরিকা এবং ভারত দুই দেশের মধ্যে বিশেষ কয়েকটি কারণ নিয়ে টানাপোড়েন চলছে। যেমন – দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য, অভিবাসন, প্রতিরক্ষা এবং বিনিয়োগ। পরবর্তীতে যাতে এই ইস্যুগুলি দু’দেশের মধ্যে সমস্যা তৈরি না করে তার জন্য হয়তো  আলাদাভাবে আলোচনা হতে পারে।

আরও পড়ুন: বুধবারই শীত বিদায়! তারপরই গরমে ঝলসাবে দক্ষিণবঙ্গ! আবহাওয়ার আগাম খবর

তৃতীয়ত, ইতিমধ্যেই ট্রাম্প অনুপ্রবেশকারী ও বেআইনি অভিবাসীদের বিতাড়িত করা শুরু করেছে। আর এতে করে আমেরিকায় বসবাসকারী বহু ভারতীয় বিপদে পড়তে পারেন। যা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর (Narendra Modi) জন্য খুব একটা ভালো হবে না বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। আর এই সমস্যা দূর করতে এবং ভারতীয় বংশোদ্ভূতদের যাতে স্বার্থ রক্ষা করা যায় তার জন্য ট্রাম্পের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টিকে সামাল দিতে পারেন প্রধানমন্ত্রী।

আরও পড়ুন: বাতের ব্যথা থেকে মিলবে মুক্তি! চিড়িয়াখানায় বিক্রি হচ্ছে বোতল বোতল বাঘের মূত্র

চতুর্থ বিষয়টি যেটি হচ্ছে এই সফরে অনেকটা জুড়ে আলোচনা হতে পারে চিনকে নিয়ে। প্রেসিডেন্ট হওয়ার আগে ট্রাম্পের মধ্যে যে চিন বিরোধী মনোভাব দেখা যায়, প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর তাতে যেন বদল দেখা গিয়েছে। উল্টোদিকে ভারত এবং চিনের মধ্যে বিভিন্ন ইস্যুতে সমস্যা দেখা যাচ্ছে। আর এই ইস্যুতে ভারত এবং আমেরিকা একে অপরকে কতটা ভরসা করতে পারবে আসন্ন সফরেই তা স্পষ্ট করে নিতে পারেন নরেন্দ্র মোদী।

আরও পড়ুন: আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ পাবেন সবাই! জেলের দুঃস্থ বন্দিদের জন্য বিশেষ উদ্যোগ রাজ্যের

পঞ্চমত, এই মুহূর্তে গোটা বিশ্বজুড়ে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রয়োগ বেড়েছে। এরই মাঝে চিনা সংস্থা ডিপসিক ভারত এবং আমেরিকার কাছে চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর এই কারণে ডিজিটাল সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে প্রযুক্তিগত বাণিজ্যে বিনিয়োগ করা নিয়ে ভারত এবং আমেরিকা ঠিক কিভাবে ভূমিকা পালন করবে তাও হয়তো মোদীর (Narendra Modi) এই সফরে স্পষ্ট হয়ে যেতে পারে। এখন দেখার বিষয়,  নরেন্দ্র মোদীর সফর দু’দেশের জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে।

Sunanda Manna
Sunanda Manna

সুনন্দা মান্না, বাংলা হান্টের স্ক্রিপ্ট রাইটার। গুরুদাস কলেজ থেকে সাংবাদিকতা করার পর থেকেই সংবাদ মাধ্যমে কাজ শুরু। দেশ থেকে বিদেশ, রাজনীতি, বিনোদন বিভিন্ন তথ্যই আপনাদের কাছে তুলে দেওয়া আমার মূল লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর