বাংলা হান্ট ডেস্কঃ লোকসভায় তখন তুমুল হট্টগোল। ভাষণ দিচ্ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। একের পর এক আক্রমণ শানাচ্ছেন বিরোধীরা। ঠিক তখনই আসে একটি দুঃসংবাদ। পিএম মোদী নিজে সেই খবর সকলের সঙ্গে ভাগ করে নেন। আর তাতেই স্তব্ধ হয়ে যায় সম্পূর্ণ লোকসভা (Lok Sabha)।
এদিন প্রধানমন্ত্রীর ভাষণের শুরু থেকেই হট্টগোল শুরু করেন বিরোধীরা। একের পর এক স্লোগান তুলতে থাকেন। মোদীও (PM Modi) পাল্টা বিরোধীদের একহাত নেন। তাঁদের উদ্দেশ্য করে তীব্র আক্রমণ শানাতে থাকেন তিনি। লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধীর পাশাপাশি কংগ্রেসকে তোপ দাগতে থাকেন। এর মাঝেই এসে পৌঁছয় একটি খারাপ খবর।
প্রধানমন্ত্রীর ভাষণের মাঝেই হাথরসের ধর্মীয় সভায় প্রচুর মানুষের পদপিষ্ট (Hathras Stampede) হয়ে প্রয়াণের খবর আসে। সঙ্গে সঙ্গে ভাষণ থামিয়ে দেন মোদী। মৃত্যুসংবাদ পেয়ে স্তব্ধ হয়ে যায় শাসক-বিরোধী উভয় পক্ষই। লোকসভায় দাঁড়িয়েই এই ঘটনা নিয়ে শোকপ্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী। একইসঙ্গে কেন্দ্রের তরফ থেকে উত্তর প্রদেশ সরকারের পাশে দাঁড়ানোর বার্তাও দেওয়া হয়।
আরও পড়ুনঃ ২ লক্ষ ক্ষতিপূরণ, হোমগার্ডের চাকরি! গণপিটুনির ঘটনায় রেয়াত নয়, এবার বিরাট পদক্ষেপ রাজ্যের
এদিন সংসদের অধিবেশন শেষ হতেই উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীকে ফোন করেন প্রধানমন্ত্রী। হাথরসের ঘটনা নিয়ে যোগী আদিত্যনাথের সঙ্গে কথা হয় তাঁর। সেখানকার পরিস্থিতি কেমন সেই ব্যাপারেও খোঁজখবর নেন।
প্রথমে যখন হাথরসের ধর্মীয় সভায় পদপিষ্ট হওয়ার খবর সামনে এসেছিল তখন জানা গিয়েছিল ২৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। তবে সেই সংখ্যা যে আরও বাড়তে পারে সেটা আশঙ্কা করা হয়েছিল। শেষ আপডেট অনুযায়ী, এই মর্মান্তিক ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন ১১৬ জন।
ইতিমধ্যেই প্রধানমন্ত্রীর দফতরের তরফ থেকে হাথরস বিপর্যয়ে প্রয়াতদের জন্য ২ লক্ষ টাকা এবং আহতদের জন্য ৫০,০০০ টাকার ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করা হয়েছে। এই ঘটনা নিয়ে শোকপ্রকাশ করেছেন পিএম মোদী। একইসঙ্গে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু এবং লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধীও শোকজ্ঞাপন করেছেন।