দিঘায় মন্দির উদ্বোধনে ব্যস্ত মুখ্যমন্ত্রী, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় রাজ্যের আগেই আর্থিক সাহায্য ঘোষণা করলেন মোদী

Published On:

বাংলাহান্ট ডেস্ক : মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বড়বাজার মেছুয়া ফলপট্টির একটি হোটেলে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে (Kolkata Fire) মৃত্যু হয় ১৪ জনের। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে আবারও মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। এর মাঝেই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মৃতদের পরিবারের জন্য বড় ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আর্থিক সাহায্যের কথা বলে পাশে দাঁড়িয়েছেন তিনি।

কলকাতার অগ্নিকাণ্ডে (Kolkata Fire) সাহায্যের ঘোষণা প্রধানমন্ত্রীর

সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ত্রাণ তহবিল থেকে সাহায্যের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। এক্স হ্যান্ডেলে লেখা হয়, ‘কলকাতা অগ্নিকাণ্ডে জীবনহানির ঘটনায় ব্যথিত। যাঁরা নিজের প্রিয়জনদের হারিয়েছেন তাঁদের জন্য সমবেদনা। আহতরা দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুন’। এরপরেই প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে মৃতদের পরিবারকে ২ লক্ষ ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়। আর আহতদের দেওয়া হবে ৫০ হাজার টাকা করে।

রাজ্য সরকারকে নিশানা বিরোধীদের: এদিকে এই ঘটনায় ক্ষোভ উগরে দিয়ে রাজ্য সরকারকে নিশানা করেছে বিরোধীরা। গতকাল অগ্নিকাণ্ডের (Kolkata Fire) পর এদিন সকালে ঘটনাস্থলে পৌঁছান বিজেপি নেতা সজল ঘোষ। কিন্তু তাঁকে এবং বিজেপির দুই কাউন্সিলরকে হোটেল চত্বরে যেতে বাধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। ক্ষোভ চড়িয়ে সজল ঘোষ বলেছেন, তাঁরা পরিস্থিতি দেখতে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন। কিন্তু পুলিশ তাতেওত বাধা দিচ্ছে’। তিনি আরো বলেন, পুলিশের কাজ বিরোধীদের আটকানো। অথচ এসব না করে নিজেদের দায়িত্ব ঠিকমতো পালন করলে এই মর্মান্তিক দিন দেখতে হত না’।

আরো পড়ুন : ‘ভিলেন’ শার্লির সিঁথি রাঙিয়ে দিলেন ‘রোহিত’ অভিষেক, প্রাক্তন সুরভীর প্রোফাইলে এখনও উজ্জ্বল অতীত স্মৃতি

কটাক্ষ করেন শুভেন্দু অধিকারী: কটাক্ষ শানিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও। তিনি লিখেছেন, ‘এ ঘটনা ১৫ বছর আগের স্টিফেন কোর্টের ট্র্যাজেডি ফিরিয়ে এনেছে। যথাযথ অগ্নি নিরাপত্তা ব্যবস্থার অভাব এবং অন্যান্য অবহেলার কারণে এই ভয়ঙ্কর ঘটনা ঘটেছে। অথচ রাজ্য পুলিশ প্রশাসন দিঘায় ৩ দিনের ছুটি কাটাতে ব্যস্ত’। তবে জগন্নাথ মন্দির উদ্বোধন উপলক্ষে সোমবার থেকে দিঘায় থাকলেও অগ্নিকাণ্ডের (Kolkata Fire) ঘটনায় মৃতদের পরিবারের জন্য ২ লক্ষ টাকা এবং আহতদের জন্য ৫০ হাজার টাকা করে আর্থিক সাহায্য ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

আরো পড়ুন : সইফ-করিনার পর শাহরুখ, আচমকাই দেশ ছাড়ার হিড়িক, নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন তারকারা?

প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মেছুয়া বাজারের বহু পুরনো ছ তলা হোটেলে ঘটে অগ্নিকাণ্ড। মোট ৮৮ জন আবাসিক ছিলেন সে সময়। এমার্জেন্সি এক্সিট ব্যবহার করতে না পারায় ভেতরেই আটকে পড়েন বহু মানুষ। অনেকে আতঙ্কে ছাদে উঠে পড়েন। সূত্রের খবর, দমকলবাহিনী পৌঁছালেও আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে কয়েক ঘন্টা সময় লেগে যায়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ২৫ জনকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। জানা গিয়েছে, ভেতরে ধোঁয়ায় দম বন্ধ হয়েই মৃত্যু হয় ১৪ জনের।

Niranjana Nag

নীরাজনা নাগ, বাংলা হান্টের কনটেন্ট রাইটার। নারুলা ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি থেকে স্নাতক পাশ করার পর সাংবাদিকতার সফর শুরু। বিগত ৫ বছর ধরে সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে যুক্ত।

X