বাংলা হান্ট ডেস্কঃ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর (Narendra Modi) নেতৃত্বে দ্বিতীয়বার লোকসভায় জয়ের পর বিজেপির (BJP) মনোবল অনেকটাই বৃদ্ধি পেয়েছে। বিগত দশ মাসে বিধানসভা নির্বাচনে হেরে যাওয়া দুটি রাজ্য নিজের নামে করে নিয়েছে বিজেপি। কংগ্রেসের (Congress) হাত থেকে ছিনিয়ে নিয়ে দুটি রাজ্যে নিজেদের ক্ষমতা কায়েম করেছে বিজেপি। লোকসভা নির্বাচনের কিছুদিন পরেও কংগ্রেসের হাত থেকে কর্ণাটক ছিনিয়ে নেয় বিজেপি। এবার মধ্যপ্রদেশেও কমলনাথ সরকারের একই হাল।
মধ্যপ্রদেশে বিগত ১৭ দিন ধরে চলা রাজনৈতিক ড্রামার পর মুখ্যমন্ত্রী কমলনাথ আজ রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপাল লালজি টন্ডনের কাছে নিজের ইস্তফা দেন। এর সাথে সাথে মধ্যপ্রদেশে বিগত ১৫ মাস ধরে চলা কমলনাথের নেতৃত্বে কংগ্রেসের সরকারের পতন হয়। ইস্তফার আগে কমলনাথ বলেন, বিজেপিকে শাসন করার জন্য জনতা ১৫ বছর দিয়েছিল, আর আমাদের পাঁচ বছরের জন্য নির্বাচিত করেছিল। কিন্তু ষড়যন্ত্রের জন্য মাত্র ১৫ মাসেই সরকার ভেঙে দিলো বিজেপি।
আপনাদের জানিয়ে দিই, ২০১৮ সালে মধ্যপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি শিব্রাজ সিং চৌহানের নেতৃত্বে ময়দানে নামে। আর কংগ্রেস কমলনাথের নেতৃত্বে নির্বাচনে লরে। রাজ্যে ২৩০ টি আসনের মধ্যে কংগ্রেস ১১৪, বিজেপি ১০৯, বহুজন সমাজ পার্টি ২, সমাজবাদী পার্টি ১ আর চার নির্দলীয় প্রার্থী জিতেছিল। কমলনাথ সপা, বসপা আর নির্দলীয় বিধায়কদের নিয়ে সরকার গঠন করেছিলেন।
বিজেপি ১৫ মাস পর মধ্যপ্রদেশে অপারেশন লোটাসের মাধ্যমে কমলনাথের থেকে ক্ষমতা ছিনিয়ে নেয়। আর এই কাজে জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। উনি কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে নাম লেখানয় ওনার সাথে সাথে কংগ্রেসের ২২ জন বিধায়ক ইস্তফা দিয়ে দেন। এরপর কমলনাথ ইস্তফা দেওয়ার জন্য বাধ্য হয়ে পড়েন। যদিও, কমলনাথ নিজের সরকার বাঁচানোর জন্য অনেক চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু সফল হতে পারেন নি। আপনাদের জানিয়ে দিই, দুটি রাজ্যের একটিতেও কংগ্রেস একক সংখ্যাগরিষ্ঠতায় সরকার গঠন করতে পারেনি।