বাংলা হান্ট ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi) এই বছর তৃতীয়বারের মতো দেশের দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন। এমতাবস্থায়, ভারতকে আন্তর্জাতিক স্তরে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী মোদীর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা দেশবাসী প্রত্যক্ষ করেছেন। কূটনীতি অবলম্বন করে বহু দেশের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক উন্নয়নে কাজ করা হয়েছে। এর ফলে একদিকে যেখানে গোটা বিশ্বের চোখ গাজা ও ইজরায়েলের যুদ্ধের দিকে রয়েছে ঠিক সেই আবহে প্রধানমন্ত্রী মোদীর একটি পদক্ষেপ উঠে এসেছে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। যেটি সমগ্র বিশ্বকে চমকে দিয়েছে।
সবার নজর প্রধানমন্ত্রী মোদীর (Narendra Modi) দিকে:
জানিয়ে রাখি, ভারত ও ইজরায়েলের মধ্যে সম্পর্ক যথেষ্ট ভালো। প্রধানমন্ত্রী মোদী (Narendra Modi) ২০১৭ সালে প্রথমবারের মতো ইজরায়েল সফর করেন। সবথেকে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, তিনি ইজরায়েল সফরকারী ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী হিসেবও বিবেচিত হন। এদিকে, বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু এবং প্রধানমন্ত্রী মোদীর মধ্যে সুসম্পর্কের উদাহরণ বহুবার দেখা গেছে। এমতাবস্থায়, ইঙ্গিত পাওয়া গেছে যে গাজা ও ইজরায়েলের মধ্যে চলমান যুদ্ধ থামানোর উদ্যোগ নিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
Appreciate PM @netanyahu’s phone call and warm wishes on India’s 78th Independence Day. We discussed the current situation in West Asia. Emphasized on the need to de-escalate the situation. Reiterated our call for immediate release of all hostages, ceasefire and need for…
— Narendra Modi (@narendramodi) August 16, 2024
নেতানিয়াহুর সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন: উল্লেখ্য যে, গত ১৫ অগাস্ট ভারত ৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করেছে। সেই উপলক্ষ্যে ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু প্রধানমন্ত্রী মোদীকে (Narendra Modi) ফোন করে স্বাধীনতা দিবসের অভিনন্দন জানান। নেতানিয়াহুর সাথে ফোনালাপের কথা উল্লেখ করে, প্রধানমন্ত্রী মোদী সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলে পোস্টও করেছেন।
গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী মোদী (Narendra Modi) বলেছেন যে তিনি নেতানিয়াহুর সাথে বিশ্বের একাধিক গুরুতর সমস্যা নিয়ে আলোচনা করেছেন। তিনি বলেন, “আমরা পশ্চিম এশিয়া নিয়ে আলোচনা করেছি।” জানিয়ে রাখি যে, গত বছর শুরু হওয়া গাজা এবং ইজরায়েলের মধ্যে যুদ্ধে, ইজরায়েল এবং হামাস উভয়ই একে অপরের দেশের নাগরিকদের বন্দি করেছে। যার উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী মোদী ব্যক্ত করেছেন যে, তাঁদের অবিলম্বে মুক্তি দেওয়া উচিত।
আরও পড়ুন: “মানুষ বলার অযোগ্য….”, আর জি কর কাণ্ডে সৌরভের বিরুদ্ধে গর্জে উঠলেন শ্রীলেখা, স্পষ্ট জানালেন….
যুদ্ধবিরতির উদ্যোগ নিলেন প্রধানমন্ত্রী: একই সাথে আমেরিকা, মিশর, কাতারসহ একাধিক দেশ ইজরায়েল ও গাজার মধ্যে যুদ্ধবিরতির জন্য ক্রমাগত চেষ্টা করছে এবং সবাই চায় হামাস ও ইজরায়েলের মধ্যে যুদ্ধের আগুন নিভে গাজায় শান্তি বজায় থাকুক। এমতাবস্থায়, প্রধানমন্ত্রী মোদী ফের নেতানিয়াহুকে জানান যে, যুদ্ধবিরতি হওয়া উচিত। যুদ্ধক্ষেত্রে ক্রমাগত মানবিক সহায়তার প্রয়োজনীয়তার কথাও উল্লেখ করেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। জানিয়ে রাখি যে, শুধু ইজরায়েল ও গাজার যুদ্ধ নয়, বরং এর আগে ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যেও চলমান যুদ্ধ থামানোর উদ্যোগে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী (Naredra Modi)।