বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিলাম, জেলেও যেতে হয়েছিল! বললেন প্রধানমন্ত্রী মোদী

Published On:

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ শুক্রবার দুদিনের বাংলাদেশ সফরে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ভারতের প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ সফর ঘিরে ওপার বাংলায় উন্মাদনা চরমে। একদিকে ওনাকে যেমন ভব্য স্বাগত জানানো হচ্ছে, আরেকদিকে ওনার বাংলাদেশ সফরের বিরোধিতায় ঢাকার রাস্তায় কট্টরপন্থী সংগঠন হেফাজতে ইসলাম এবং বাংলাদেশের বাম ছাত্র সংগঠনরা বিক্ষোভ দেখাচ্ছে।

বাংলাদেশের মৌলবাদীদের এই বিক্ষোভে ঢাকায় চরম উত্তেজনা ছড়িয়েছে। একদিকে যেমন একাধিক বিক্ষোভকারী গ্রেফতার এবং জখম হয়েছে, তেমনকই আরেকদিকে বাংলাদেশ পুলিশের অনেক কর্মীও আহত হয়েছেন। আজ দুপুরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বাংলাদেশ সফর ঘিরে ঢাকায় নতুন করে উত্তেজনা ছড়ায়। ঢাকার প্রধান মসজিদ থেকে নামাজ পড়ে বেরিয়ে উন্মাদিরা পুলিশের উপর ইট ছোঁড়া শুরু করে দেয়।

আরেকদিকে, শুক্রবার বাংলাদশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান আর ওনাকে গার্ড অফ অনার দেওয়া হয়। বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তিতে আজ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বাংলাদেশে পৌঁছেছেন। ওপার বাংলায় পৌঁছানোর পর নির্ধারিত কার্যক্রম অনুযায়ী তিনি সবার আগে ঢাকার শহীদ স্মারকে যান। সেখানে তিনি একটি বৃক্ষরোপন করেন আর শহীদ স্মারকের ভিজিটর বুকে বার্তা লিখে স্বাক্ষর করেন।

এরপর বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় মুজিববর্ষ উপলক্ষে একটি অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন যে, তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামেও অংশ নিয়েছিলেন। তিনি জানান, ‘ আমার জীবনের সব আন্দোলনগুলোর মধ্যে অন্যতম ছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতার লড়াইয়ে শামিল হওয়া। ২০-২২ বছর বয়সে আমি এবং আমার সঙ্গীরা সত্যাগ্রহ করেছিলাম। ভারতে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে অংশ নেওয়ার জন্য আমাকে গ্রেফতারও করা হয়েছিল।” তিনি বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপন যেমন আপনারা দেখেছিলেন, তেমন ভারতীয়রাও চেয়েছিল বাংলাদেশ স্বাধীন হোক।

X