বাংলা হান্ট ডেস্ক: গতকাল কলকাতার হাজরা ক্রসিংয়ে বিক্ষোভ দেখালেন কংগ্রেস কর্মীরা৷ এই বিক্ষোভের রূপ এমন ধারা হয়ে যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কুশপুতুল দাহ করা হয় সেখানে৷ দক্ষিণ কলকাতা জেলা কংগ্রেস কমিটির কংগ্রেস কর্মীরা একে একে জমায়েত করেন উদ্যোগে হাজরা ক্রসিংয়ে৷ তাদের সকলের একটাই দাবী যে পশ্চিমবাংলায় কোন রকম ভাবেই যে পশ্চিমবাংলায় কোন রকম ভাবেই নাগরিকপঞ্জি চালু করা চলবে না। কাশ্মীরে বাংলার পাঁচ যুবককে হত্যার পেছনে কেন্দ্রীয় সরকারের ষড়যন্ত্র রয়েছে বলে দাবি করেন কংগ্রেস কর্মীরা। এছাড়া আর্থিক মন্দা, মূল্য বৃদ্ধি সহ একগুচ্ছ দাবিতে আজ BJP-র বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেন কংগ্রেস কর্মীরা।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি রাজ্যসভায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এনআরসি নিয়ে নিজের বক্তব্য রাখেন। তারপরে মুর্শিদাবাদের জনসভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অমিত শাহ কে তীব্র আক্রমণ করে বলেন, ‘এই রাজ্যে এনআরসি হবেনা, একটা লোককেও রাজ্য থেকে আমরা বিতাড়িত করতে দেব না, এনআরসি নিয়ে কেউ কেউ মিথ্যাচার ছড়িয়ে বেড়াচ্ছে, মনে রাখবেন বাইরের কারোর কথায় বিশ্বাস করবেন না।’
উল্লেখ্য, রাজ্যসভায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ এদিন এনআরসি নিয়ে বিরোধীদের প্রশ্নের জবাব দেন। সাংসদদের প্রশ্নের জবা দিয়ে অমিত শাহ বলেন, NRC এর জন্য কোন ধর্ম বিশেষ মানুষদের ভয় পেতে হবেনা। বড় ঘোষণা করে অমিত শাহ বলেন, NRC এর মাধ্যমে নাগরিকদের পরিচয় সুনিশ্চিত করা হবে, আর NRC গোটা দেশে লাগু হবে।
উনি ধর্মের ভিত্তিতে NRC তে বৈষম্যের কথা অস্বীকার করেন। উনি বলেন, এটি একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে দেশের নাগরিকদের NRC লিস্টে যুক্ত করা হবে। NRC তে এমন কোন নিয়ম নেই যে, এর মাধ্যমে কোন ধর্ম বিশেষ মানুষদের এই সূচিতে যুক্ত করা হবেনা। অমিত শাহ বলেন, সমস্ত নাগরিক তাঁদের ধর্ম যাই হোক না কেন, NRC লিস্টে যুক্ত হতে পারবেন। NRC একটি আলাদা প্রক্রিয়া আর নাগরিক সংশোধন বিল আলাদা প্রক্রিয়া। এই দুটি জিনিষকে একসাথে না দেখা মঙ্গল।
সৈয়দ নাসির হুসেইনের প্রশ্নের জবাবে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ বলেন হিন্দু, বৌদ্ধ, শিখ জৈন, ইসাই, পারসি শর্ণার্থীদের নাগরিকতা দেওয়া হবে। এর জন্য সিটিজেন অ্যামেডমেন্ট বিল আলাদা একটি প্রক্রিয়া, এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এই ধর্মাবল্মবি মানুষদের নাগরিকতা দেওয়া হবে। এরা পাকিস্তান, বাংলাদেশ আর আফগানিস্তান থেকে শুধুমাত্র ধর্মের কারণে অত্যাচারিত হয়ে এদেশে এসে মাথা গুঁজেছে।