বাংলাহান্ট ডেস্ক : পহেলগাঁওয়ের নারকীয় হত্যাকাণ্ডের পর থেকেই প্রতিশোধের আগুনে জ্বলছিল গোটা দেশ। স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi) হুঙ্কার দিয়ে বলেছিলেন, হামলায় যুক্ত কাউকে ছাড়া হবে না। প্রতিশোধ পর্ব শুরু হয়ে গিয়েছিল আগেই। এবার আরো এক ধাপ এগিয়ে বড় পদক্ষেপ নিল সরকার। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi) ‘পূর্ণ স্বাধীনতা’ দিলেন তিন ভারতীয় সেনাবাহিনীকে। অর্থাৎ এবার পহেলগাঁওয়ের বদলা নিতে যখন খুশি, যেখানে খুশি, যেভাবে খুশি অ্যাকশন নিতে পারবে বাহিনী।
তিন ভারতীয় সেনাবাহিনীকে পূর্ণ স্বাধীনতা নরেন্দ্র মোদীর (Narendra Modi)
পিটিআই সূত্রে খবর, এদিন নিজ বাসভবনে প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল, চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ অনিল চৌহান এবং তিন বাহিনীর প্রধানদের সঙ্গে একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী (Narendra Modi)। সেখানেই তিনি নির্দেশ দিয়েছেন, পহেলগাঁও হামলার বদলা নিতে ‘পূর্ণ স্বাধীনতা’ দেওয়া হচ্ছে ভারতীয় সেনা, ভারতীয় বায়ুসেনা এবং ভারতীয় নৌসেনাকে। যখন, যেখানে খুশি অ্যাকশন নিতে পারে তাঁরা। এমনকি কীভাবে অ্যাকশন নেওয়া হবে সে বিষয়েও বাহিনীদের উপরেই সিদ্ধান্ত ছেড়ে দিয়েছেন মোদী।
কী নির্দেশ এল বৈঠকে: সূত্র মারফত খবর, বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ভারতীয় সেনা প্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী, ভারতীয় বায়ুসেনা প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল এপি সিং এবং ভারতীয় নৌসেনা প্রধান অ্যাডমিরাল দীনেশকুমার ত্রিপাঠী। তাঁদের সামনেই প্রধানমন্ত্রী (Narendra Modi) বলেছেন, ‘আমাদের কী প্রতিক্রিয়া হবে, কীভাবে পদক্ষেপ নেওয়া হবে, টার্গেট এবং অ্যাকশন কী হবে সবকিছুই নির্ধারণ করার পূর্ণ স্বাধীনতা রয়েছে’।
আরো পড়ুন : গভীর জঙ্গলে ঝরনার জলে ভাসছে মৃতদেহ! ‘দ্য ফ্যামিলি ম্যান’ অভিনেতার রহস্যমৃত্যুতে চাঞ্চল্য
চিন্তা বেড়েছে পাকিস্তানের: পহেলগাঁও ঘটনার পর থেকেই গলা শুকিয়েছে পাকিস্তানের। ইতিমধ্যেই জঙ্গি নিধন পর্ব শুরু করে দিয়েছে ভারত। পাকিস্তান প্রথম থেকে দায় এড়ালেও সম্প্রতি জানা গিয়েছে, পহেলগাঁও হামলায় যুক্ত জঙ্গি হাসিম মুসা ছিল পাক স্পেশ্যাল ফোর্সের প্রাক্তন প্যারা কমান্ডো। তারপর থেকেই চিন্তা বেড়েছে পাকিস্তানের। ওয়াকিবহাল মহল বলছে, আবারও ভারতের তরফে কোনো স্ট্রাইকের আতঙ্ক তাড়া করছে পাকিস্তানকে।
একদিকে যখন পাকিস্তান যুদ্ধের জিগির তুলছে, অন্যদিকে তাদের সেনাবাহিনীতে নাকি গণ ইস্তফা দেওয়ার হিড়িক উঠেছে। এর মাঝেই প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকে যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হল তার ফলাফল কী হবে তা ভেবে আতঙ্ক আরো বাড়বে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।