১৫ বছর ধরে বেহাল রাস্তা, চাঁদা তুলে মেরামতির কাজে লাগলেন স্থানীয়রা

বাংলাহান্ট ডেস্ক : সরকারিভাবে সম্পূর্ণ হয়েছে রাস্তার কাজ, কিন্তু বাস্তবের চিত্রটা সম্পূর্ণ আলাদা।প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনা প্রকল্পের অধীনে রাস্তা মেরামতির কাজ না হওয়ায় গ্রামবাসীরা নিজেরাই চাঁদা তুলে তৈরি করতে শুরু করলেন রাস্তা। ঘটনাটি পশ্চিম মেদিনীপুরের (Paschim Medinipur) খড়গপুরের (Kharagpur)। রাস্তা তৈরি না হওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিজেপির গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান অভিযোগ চাপিয়েছেন তৃণমূল পরিচালিত জেলা পরিষদ বোর্ডের উপর। অন্যদিকে, জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে দ্রুত রাস্তা তৈরি করার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।

পশ্চিম মেদিনীপুরের খড়গপুর ২ নম্বর ব্লকের সাঁকোয়া ফতেচক এলাকায় গেলে আপনি দেখতে পাবেন একটি সরকারি বোর্ড। সেই বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৮ তে শুরু হওয়া ৩ কিলোমিটার রাস্তার কাজ শেষ হয়েছে ২০২০ সালে। এরই সাথে লেখা এই রাস্তা তৈরি করতে খরচ হয়েছে ১ কোটি ৬৩ লক্ষ ৭৬ হাজার টাকা। কিন্তু স্থানীয় গ্রামবাসীদের অভিযোগ, গত ১৫ বছরে এই রাস্তায় কোন রকম মেরামতির কাজই হয়নি। অত্যন্ত খারাপ এই রাস্তার জন্য প্রতিদিন ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন বহু মানুষ।

খড়গপুর সাঁকোয়া ফতেচকের এক অধিবাসী শেখ সাগর আলি বলেছেন, সরকারের তরফ থেকে বলা হচ্ছে রাস্তা তৈরি হয়েছে। কিন্তু বাস্তবে তো কিছুই হয়নি। তাই আমরাই চাঁদা তুলে রাস্তা সংস্কার করছি। এই গ্রামেরই অন্য এক বাসিন্দা অভিযোগ করেছেন, সামান্য বৃষ্টি হলেই রাস্তার গর্ততে জমে থাকে জল। যাতায়াত করতে সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়।

এই ঘটনা সামনে আসার পর জেলা জুড়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। সাঁকোয়া গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান ও বিজেপি নেত্রী তাপসী জানা বলেছেন, রাস্তা তৈরির জন্য আমাদের পক্ষে এত টাকা খরচা করা সম্ভব নয়। এটা জেলা পরিষদের কাজ।

rasta

অপরপক্ষে, জেলা পরিষদ দাবি করেছে, এই জায়গায় রাস্তা তৈরি হয়েছিল। কিন্তু বন্যায় তা নষ্ট হয়ে গেছে। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ ও তৃণমূল নেতা নির্মল ঘোষ বলেছেন, এই রাস্তা তৈরির জন্য টেন্ডার ডাকা হয়েছে। দ্রুত রাস্তা তৈরি হয়ে যাবে।

Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর