প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জি–সম্মেলনে অংশ নেওয়ার জন্য বর্তমানে ফ্রান্সে রয়েছেন। তিন দেশের যাত্রায় যাওয়া প্রধানমন্ত্রীর এটিই শেষ ধাপ। সোমবার এই দেশগুলির মধ্যে হওয়া বৈঠকের কারণে প্রধানমন্ত্রীর সিডিউল খুব টাইট ছিল। রবিবার সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী যখন সেখানে পৌঁছায় বহু দেশের প্রধানরা তাঁকে তীব্রভাবে বা দুর্দান্ত ভাবে স্বাগত জানান। সকলে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সাথে দেখা করার জন্য প্রচুর উৎসাহ দেখান। যে দলটির ভারত সদস্য নয়, সেই দলের সদস্য দ্বারা ভারতের প্রধানমন্ত্রীর এরকম দুর্দান্ত অভ্যর্থনা দেখার বিষয় ছিল।
আসলে, জি -7 এর সরকারী সভা সোমবার অনুষ্ঠিত হবার কথা ছিল। সোমবার প্রধানমন্ত্রীকে এসব বৈঠকে অংশ নেওয়ার পাশাপাশি অনেক দেশের প্রধানের সাথে দ্বিপক্ষীয় আলোচনায় অংশ নেওয়ার জন্য হাজির হতে হয়েছিল। এর আগে সকল প্রধানের মধ্যে অনানুষ্ঠানিক বৈঠক হয়েছিল, সেখানে একটি ফটো সেশনও ছিল। এরই মধ্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে, কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর সাথে দেখা করেছিলেন। এই ছবিগুলিতে দুই নেতার মধ্যে যে উষ্ণতা ছিল তা দেখার বিষয় ছিল।
At the @G7 Summit in Biarritz, I addressed the session on ‘Biodiversity, Oceans, Climate.’ Highlighted India’s large scale efforts towards eliminating single use plastic, conserving water, harnessing solar energy and, protecting flora and fauna for a sustainable future. pic.twitter.com/djS5ksgVEZ
— Narendra Modi (@narendramodi) August 26, 2019
সোমবার সকলের নজর G-7 এর উপরই ছিল। কারণ এই বৈঠকের সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাথে দেখা হওয়ার বিষয় ছিল। দুই নেতা বিভিন্ন বিষয়ে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা করেন। আজকাল জম্মু ও কাশ্মীরের বিষয়টি নিয়ে প্রচুর আলোচনা চলছে। চীন-আমেরিকার বাণিজ্য যুদ্ধ বেড়ে চলছে এবং একই সাথে আফগানিস্তানের বিষয়টিও রয়েছে, এমন পরিস্থিতিতে ট্রাম্প-মোদীর এই বৈঠক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল।
রবিবার প্রধানমন্ত্রী পৌঁছানোর পর তিনি প্রথমে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের সাথে সাক্ষাত করেন। বোরিস প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর এটি মোদি ও বোরিসের প্রথম আলাপ ছিল। আপনাকে জানিয়ে দি এবার ফ্রান্সের বিরিটজ শহরে জি -7 এর আয়োজন করা হচ্ছে। এবার জলবায়ু পরিবর্তন, বাণিজ্য, অ্যামাজন ফায়ার সহ এমন অনেক বিষয় নিয়ে কথা বলা হবে যেগুলোকে নিয়ে বিশ্বব্যাপী শিরোনামে আলোচনা চলছে। G-7 এর প্রধান সদস্যরা হলেন কানাডা, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, জাপান, ব্রিটেন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।