বাংলাহান্ট ডেস্ক : ভারতীয় রাজনীতিতে আবারো একটি ঐতিহাসিক মুহূর্তের সন্ধিক্ষণ। রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ বা আরএসএস এর সদর দফতরে পা রাখলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। রবিবারেই নাগপুরে এসে পৌঁছেছেন তিনি। উল্লেখ্য, মোদীই ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী যিনি ক্ষমতায় থাকাকালীন RSS এর সদর দফতরে পা রাখলেন।
প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর RSS সদর দফতরে নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)
উল্লেখ্য প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর এই প্রথম সেখানে গেলেন নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। সদর দফতর রেশম বাগে হেডগেওয়ার স্মৃতিমন্দির ঘুরে দেখেন তিনি। এদিন প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানানোর জন্য উপস্থিত ছিলেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্রনাথ ফড়নবীশ, সংঘের প্রধান মোহন ভাগবত।
আগেও গিয়েছিলেন ১২ বছর আগে: উল্লেখ্য, এর আগে সেই ২০১৩ সালে সংঘের সদর দফতরে গিয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। তখনো অবশ্য তিনি প্রধানমন্ত্রী হননি। বিজেপির প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে মনোনীত হওয়ার পরেই সেখানে গিয়েছিলেন তিনি। মাঝে কেটে গিয়েছে দীর্ঘ ১২ বছর। অবশেষে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে RSS এর সদর দফতরে ফিরলেন মোদী (Narendra Modi)। স্বাভাবিক ভাবেই অভিভূত হয়ে পড়েছিলেন তিনি।
আরো পড়ুন : ভূমিকম্পের মাঝেই প্রসব বেদনা! চিকিৎসকদের সাহায্যে রাস্তায় ভূমিষ্ঠ শিশু, ব্যাঙ্ককের ভিডিও ভাইরাল
রাজনৈতিক তরজা তুঙ্গে: প্রসঙ্গত, নরেন্দ্র মোদীর (Narendra Modi) নাগপুর সফর নিয়ে ইতিমধ্যেই রাজনৈতিক তরজা পৌঁছেছে তুঙ্গে। সরব হয়েছে বিরোধীরা। এর মাঝেই এ বিষয়ে মুখ খুললেন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তাঁর স্পষ্ট কথা, প্রধানমন্ত্রী যেতেই পারেন। এটি বিশ্বের মধ্যে সবথেকে বড় স্বেচ্ছাসেবী সাংষ্কৃতিক সংগঠন। বহু মানুষই সেখান যান।
আরো পড়ুন : ৯ কোটি টাকার প্রতারণার অভিযোগ, চিটফান্ড কাণ্ডে অবশেষে নীরবতা ভাঙলেন শ্রেয়স
দিলীপ ঘোষের কথায়, এটা খুবই স্বাভাবিক বিষয়। বিদেশ থেকেও বহু মানুষ সংঘের সদর দফতরে আসেন। তিনি এও বলেন, সংঘের নিজস্ব নেটওয়ার্ক এর ফিডব্যাক প্রয়োজন হতে পারে তাঁর। সঙ্গে তিনি এও বলেন, নরেন্দ্র মোদীর সামাজিক কর্মজীবন শুরু হয়েছে RSS এর হাত ধরেই। এর আগেও তিনি সেখানৈ গিয়েছেন। এটা প্রথম বার নয়।