বাংলাহান্ট ডেস্ক : গত ১০ বছরে ভারতের আম-আদমির কল্যাণে একাধিক জনমুখী প্রকল্পের সূচনা করেছে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi-India) সরকার। উজ্জ্বলা যোজনা থেকে আয়ুষ্মান ভারত, স্বচ্ছ ভারত থেকে ঘরে ঘরে পাইপযুক্ত পানীয় জল সরবরাহ, বিগত ১০ বছরে কেন্দ্রীয় একাধিক প্রকল্পের মাধ্যমে কতটা বদলেছে দেশের আম নাগরিকের জীবন?
ভারতের উন্নতি নিয়ে নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi-India) বক্তব্য
হোয়াট ইন্ডিয়া থিঙ্কস টুডে কনক্লেভে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi-India) তুলে ধরলেন সেই খতিয়ান। হোয়াট ইন্ডিয়া থিঙ্কস টুডে’র মঞ্চে এদিন মোদি বলেন, ‘একবিংশ শতাব্দীর ২৫ বছর অতিক্রম হয়েছে। এর মধ্যে আমাদের সরকার ১১ বছর দেশের সেবা করার সুযোগ পেয়েছে। অতীতের দিকেও তাকাতে হবে আমাদের। তাহলেই বোঝা যাবে কীভাবে ভারত আত্মনির্ভরতার পথে অগ্রসর হল।’
আরও পড়ুন : ভারতীয় বায়ুসেনার বাড়বে শক্তি, দেশেই তৈরি হবে পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান! গুরুদায়িত্ব পেল এই সংস্থা
রীতিমত উদাহরণ টেনে এদিন প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এক দশক আগে গ্রামে শৌচালয়ের কথা উঠলে, গ্রামের মা-বোনেদের কাছে ভোর ও রাত ছাড়া কোনও জবাব ছিল না। আজ স্বচ্ছ ভারত অভিযান সেই জবাব দিয়ে দেয়।’ এরই সাথে মোদি এদিন জানান, ভারতে ২০১৩ সালের আগে চিকিৎসা ছিল ব্যয়বহুল বিষয়। কিন্তু আজ তার সমাধান করেছে আয়ুষ্মান ভারত। ২০১৩ সালের আগে গরিব পরিবারের রান্নাঘরের কথা উঠলেই ভেসে উঠত উনুন আর ধোঁয়ার ছবি। তবে আজ সেই ছবি বদলে দিয়েছে উজ্জ্বলা যোজনা।
আরও পড়ুন : চাকরিপ্রার্থীদের জন্য সুখবর! এবার এই কেন্দ্রীয় সংস্থায় কাজের সুযোগ, এইভাবে করুন আবেদন
একই সাথে মোদির সংযোজন, ‘আগে মহিলাদের কাছে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নম্বর চাইলে কোনও উত্তর ছিল না তাদের কাছে। আজ প্রধানমন্ত্রী জন ধন যোজনার আওতায় নিজস্ব ব্যাংক অ্যাকাউন্ট রয়েছে দেশের ৩০ কোটি মহিলার। ২০১৩ সালের আগে জলের জন্য ভরসা ছিল কুয়ো বা পুকুর। এখন হর ঘর নল যোজনা সমাধান করেছে সেই সমস্যার। জীবন বদলাচ্ছে মানুষের। গোটা বিশ্বের নজর এখন ভারতে। অনেকেই গ্রহণ করছে ভারতের উন্নয়ন মডেল।’
এদিনের বক্তৃতায় মোদি (Narendra Modi) বলেন, ‘ভারত এখন কেবল স্বপ্ন দেখার জাতিই নয়, বরং তা পূরণের জাতিও। গোটা বিশ্ব আজ জানতে চায় ভারত কী ভাবছে।’ পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী এদিন আরও বলেন, ‘আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) নতুন তথ্যে বলা হয়েছে যে ভারতই একমাত্র প্রধান অর্থনীতি যার জিডিপি ১০ বছরে দ্বিগুণ হয়েছে।’