বাংলা হান্ট ডেস্ক : যশবন্তপুর হামসফর এক্সপ্রেসকে ধাক্কা মেরে মালগাড়ির উপর উঠে গেছে শালিমার-চেন্নাই করমণ্ডল এক্সপ্রেস (Coromandel Express)। ওড়িশার বালেশ্বরের কাছে বাহানাগ বাজারের দুর্ঘটনায় এখনও পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ২৬১ জন। নিহত এবং আহতদের পরিবারপিছু আর্থিক সাহায্য ঘোষণা করেছে রেল মন্ত্রক। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় চলছে উদ্ধারকাজ।
ইতিমধ্যেই হেলিকপ্টারে চড়ে বালেশ্বরের হেলিপ্যাড গ্রাউন্ডে পৌঁছে গেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। দুর্ঘটনাস্থল ঘুরে দেখছেন মোদি। সঙ্গে রয়েছেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। বালেশ্বরের হাসপাতালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সার্জারি ও অর্থপেডিক বিভাগে যান তিনি। সঙ্গে রয়েছেন রেলমন্ত্রী। আহতদের সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে কথা বলছেন তিনি। নিচ্ছেন খোঁজখবর। ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত এবং দোষীদের উপযুক্ত সাজা দেওয়ার আশ্বাস দিলেন প্রধানমন্ত্রী। ‘এই দুঃখ প্রকাশের ভাষা নেই আমার কাছে’, বালেশ্বরে দুর্ঘটনাস্থল খতিয়ে দেখে মন্তব্য মোদির।
দুর্ঘটনায় আহতদের দেখতে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। দুর্ঘটনায় আহত ৪ জনকে এই হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছিল। তাঁদের মধ্যে ৩ জনকে ছেড়ে দেওয়া হলেও একজন এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
বসিরহাটের বাসিন্দা ফতেমা বিবির শরীরে একাধিক জায়গায় আঘাত লেগেছে। তাঁকে দেখতে বিকেলে হাসপাতালে এলেন রাজ্যপাল। চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলেন আনন্দ বোস। রাজভবনের তরফে ফতেমা বিবিকে ৫০ হাজার টাকা আর্থিক সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন।
বালেশ্বর ট্রেন দুর্ঘটনায় লাফিয়ে বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যা। এখনও পর্যন্ত ২৯৫ জনের মৃত্যু, আহত অন্তত ৬৫০। গাইসলের ট্রেন দুর্ঘটনাকে ছাপিয়ে গেল করমণ্ডল। ভোটের রাজনীতি করতে তড়িঘড়ি সব উদ্বোধন কেন? রাজনীতি করতে গিয়ে মানুষের প্রাণ নিয়ে ছিনিমিনি খেলবেন না। আপনাদের দম্ভ-ঔদ্ধত্যের জন্য মানুষের প্রাণ যাচ্ছে। লাশের ওপর দাঁড়িয়ে রাজনীতি করছেন। অ্যান্টি কলিশন ডিভাইস কাজ করল না কেন, শ্বেতপত্র প্রকাশ করুক সরকার। বিজেপি নেতাদের বড় বড় গদি-এসি লাগে, আমাদের তো এত সখ-আহ্লাদ নেই। এই টাকা যদি মানুষের সুরক্ষায় কাজে লাগানো হত, তাহলে আজ এই দিন দেখতে হত না’, করমণ্ডল বিপর্যয়ে মোদি সরকারকে তীব্র আক্রমণ অভিষেকের।
‘রেলমন্ত্রীর পদত্যাগ করা উচিত। অ্যান্টি কলিশন ডিভাইস কাজ করল না কেন? মিথ্যাচারের ওপর দাঁড়িয়ে কেন্দ্রের সরকার। রেলের ওপর ভরসা রেখে মানুষ ট্রেনে ওঠেন। এই মৃত্যুমিছিলের দায় এড়াতে পারে না রেল ও সরকার’, এমনই দাবি করলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।