বাংলাহান্ট ডেস্ক : আগামী ১ জুন শেষ ধাপে বারাণসী লোকসভা কেন্দ্রে নির্বাচন রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) এই আসন থেকেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তার আগে মনোনয়নপত্র মঙ্গলবার দিন জমা দিলেন প্রধান মন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তৃতীয়বারের জন্য লোকসভা নির্বাচনে এই কেন্দ্র থেকে লড়ছেন প্রধানমন্ত্রী। তবে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পূর্বে দশাশ্বমেধ ঘাটে কাল ভৈরবের দর্শন ও পুজো তিনি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং এবং মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ সহ উঁচুস্তরের নেতারা ছিলেন তাঁর সাথে।
জানেন কি? মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দাঁড়িয়ে থাকলেও, রিটার্নিং অফিসার নিজের চেয়ারে বসেই ছিলেন। তবে শুধু প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদি নয়, যে কোন প্রার্থীর সামনেই বসেই থাকেন এই অফিসাররা। আসলে এটাই হলো প্রটোকল। যত বড় নেতা মনোনয়নপত্র জমা দিতে আসুন না কেন রিটার্নিং অফিসার তার সামনে উঠিয়ে দাঁড়াবেন না। এটি একজন রিটার্নিং অফিসারের পদের নীরপেক্ষতা।
আরোও পড়ুন : দুর্দান্ত চমক SBI’র! বাড়ল এতটা সুদের হার! এবার FD’তে টাকা রাখলেই হয়ে যাবেন মালামাল
কোন জেলার মুখ্য অফিসার হলেন রিটার্নিং অফিসার। তিনি সব দলের প্রতি নিরপেক্ষ। তাই প্রার্থী হিসেবে যে ব্যক্তি মনোনয়নপত্র দাখিল করতে আসুক না কেন তাদের সামনে বসেই থাকবেন রিটার্নিং অফিসাররা। এমনকি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এলেও এই অফিসারদের উঠে দাঁড়ানোর নিয়ম নেই। রিটার্নিং অফিসারের ওপর কেউ আদেশে জারি করতে পারেন না। প্রোটোকল মেনে মনোনয়নপত্র জমা নেওয়ার সময় রিটার্নিং অফিসার নিজের চেয়ারেই বসে থাকে।
আদালতের কথা বলতে গেলে ঠিক এমনটাই ঘটে। যত বড় নেতা মন্ত্রী কিংবা প্রশাসনিক প্রধান বিচারের জন্য আদালতে হাজির হন না কেন, বিচারক কিন্তু কোন ভাবেই নিজের চেয়ার থেকে উঠে দাঁড়াবেন না। একইভাবে রিটার্নিং অফিসার এবং মনোনয়ন জমা নেওয়ার সময় উঠে দাঁড়ান না। ক আদালতে যেমন ঘটে তেমনই ব্যাপার। যত বড় নেতা বা মন্ত্রীই আদালতে হাজির হন না কেন, বিচ তাঁর চেয়ার থেকে উঠে দাঁড়ান না। একইভাবে রিটা। অফিসারও মনোনয়নের সময় উঠে দাঁড়ান না। গেজেট বিজ্ঞাপন জারি করা, ফলাফল ঘোষণার পর বিজয়ী প্রার্থীকে সার্টিফিকেট প্রদান, নির্বাচনী প্রতীক বরাদ্দ করা সহ বিভিন্ন কাজ করে থাকেন এই রিটার্নিং অফিসাররা।