বাংলা হান্ট ডেস্ক : মন্ত্রীসভায় ছাড়পত্র পাওয়ার পর থেকে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল যে পাশ হবে এমনটা আশা করাই গিয়েছিল। যদিও বিরোধিতার ঝড় উঠেছিল দেশজুড়ে। সংসদ চত্বর থেকে শুরু করে বিভিন্ন স্তরে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের বিরোধিতা শুরু হয়। কিন্তু তাতে কি, লোকসভা থেকে শুরু করে রাজ্যসভা সমস্তক্ষেত্রেই নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের পক্ষেই ভোট পড়েছে বেশি। তাই বিরোধীদের বিরোধিতা আর ধোপে টেকেনি। যদিও রাষ্ট্রপতির অনুমোদ পেলেই আইন প্রনয়ন হবে।
কিন্তু তার আগেই শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে ইন্ডিয়ান ইউনিয়ন মুসলিম লিগ। তবে রাজ্যসভায় নাগরিকত্ব বিল পাশ হাওয়ার পর বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাস দেখা গেল পাকিস্তানের হিন্দু উদ্বাস্থুদের মধ্যে। নরেন্দ্র মোদী জিন্দাবাদ, ভারত মাতা কি জয় এসব স্লোগান তুলে দিল্লীর পাকিস্তানি উদ্বাস্তু কলোনিতে অকাল হোলি পালন হল বুধবার রাতে।
#WATCH Delhi: Hindu refugees from Pakistan living in Majnu-ka-Tila area celebrated the passage of #CitizenshipAmendmentBill2019 in Rajya Sabha. pic.twitter.com/1AhTxOcXHG
— ANI (@ANI) December 11, 2019
বুধবার যখন ভারতীয় সময় অনুযায়ী পৌনে নটা ঠিক তখনই সংসদে হইহই রোব ওঠে আর পাশ হয় নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল। আর তারপরেই দিল্লীর পাকিস্তানি উদ্বাস্তু কলোনিতে সকলেই একবাক্যে বলেও ওঠেন এই দিনটির জন্য অপেক্ষা করছিলাম। এই প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে ওই কলোনির এক গৃহবঝূ বলেন, সংসদে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পাশ হক এটা তাঁরা চেয়েছিলেন এবং তা হয়েছে। প্রাণ বাঁচাতে পাকিস্তান থেকে এদেশে এসেছিলেন ওই গৃহবধূ।
Delhi: A Pakistani Hindu refugee woman living at Majnu ka Tila today named her two-day old daughter 'Nagarikta'. The woman said, "It is my earnest wish that the #CitizenshipAmendmentBill2019 Bill passes in Parliament". The Bill was passed in Parliament today. pic.twitter.com/JsT17rrSEz
— ANI (@ANI) December 11, 2019
তবে নাগরিকত্ব পাওয়ার ব্যাপারে চিন্তা ছিল যথেষ্ট। কিন্তু কেন্দ্দের তরফে যখন বাংলাদেশ, আফগানিস্তান ওপাকিস্তান থেকে আসা হিন্দুদের নাগরিকত্ব দেওয়ার ব্যাপারে বলা হয় ঠিক তখনই আশায় প্রহর গুনছিলেন তাঁর মতো অনেকে। অবশেষে সেই আশা পূরণ হয়েছে। বুধবার রাজ্যসভায় নাগরিক গত সংশোধনী বিল পাশ হওয়ার পর থেকে কলেজের ছাত্রছাত্রীরা পথ অবরোধ করেছিল একই সঙ্গে মিছিলে হেটেছে তাঁরা।
অসমের ডিব্রুগড়ে সেনা নামানো হয়েছে যাঁরা ইতিমধ্যে বিভিন্ন এলাকায় ফ্ল্যাগ মার্চ শুরু করে দিয়েছে। অপরাধে বন্ধ রাখা হয়েছে ইন্টারনেট, অসমে ইন্টারনেট বন্ধ রাখা হতে পারে বলে সূত্রের খবর।যেহেতু বুধবার রাজ্যসভায় নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পাশ হয়ে গিয়েছে তাই কোনও রকম ঝুঁকি নিতে চাইছে না অসম সরকার
কারণ বুধবার অসমের মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়ালকে ঘিরে ব্যাপক বিক্ষোভ দেখিয়েছিল সাধারণ মানুষ এবং তাঁর বাড়িতেও হামলা করেছিল তাই ত্রিপুরার মতো ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করতে চাইছে অসম সরকার। বুধবার দীর্ঘ কয়েক ঘণ্টার বাদ বিবাদের পর রাত্রি প্রায় নটার দিকে পাস হয়েছে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল।