বাংলাহান্ট ডেস্ক : ট্রেনে শসা বিক্রি করছেন ‘নরেন্দ্র মোদী’, এমন দৃশ্য মাঝেমধ্যেই দেখা যায় উত্তরপ্রদেশের সাহারানপুর এলাকায়। এবার উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির বিরুদ্ধেই নির্দল প্রার্থী হচ্ছেন তিনি।
আজ্ঞে হ্যাঁ, ঠিকই পড়েছেন। উত্তরপ্রদেশের সাহারানপুরের বাসিন্দা অভিনন্দন পাঠককে দেখতে হুবহু প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মতই। একঝলক দেখে আলাদা করার উপায় নেই কোনোমতেই। ফলে কার্যতই ‘নকল মোদী’, ‘গরীবের মোদী’, ‘ছোটো মোদী’ ইত্যাদি খেতাব জুটেছে তাঁর কপালে। এবার বিজেপির বিরুদ্ধে মাঠে নামছেন এই মোদীই।
২০১৪ সালে লোকসভা নির্বাচনে নরেন্দ্র মোদীর হয়ে প্রচারে নেমে প্রথম দেশবাসীর নজরে আসেন অভিনন্দন। কিন্তু মোদী জিতলেও মোদীর ‘হামসকলের’ অবস্থা বদলায়নি বিন্দুমাত্র। ফলে মন ভাঙা অভিনন্দন ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে নির্দল হয়ে খোদ নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধেই লড়েছিলেন বারানসি কেন্দ্র থেকে। তবে মোদী বনাম গরীবের মোদীর সেই লড়াইতে হালে পানি পাননি কিছুই। তবে হাল ছাড়তে নারাজ তিনি। এবারও মাঠে নামছেন অভিনন্দন। তবে বিজেপির উপর ক্ষুদ্ধ হয়েই। তাঁর অভিযোগ বিজেপির টিকিটেই লড়তে চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু একেবারেই পাত্তা দেয়নি দল। যার জেরে একপ্রকার বাধ্য হয়েই নির্দল প্রার্থী হতে হয়েছে তাঁকে।
অভিনন্দন বলেন, ‘বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহকে চিঠি লিখেছিলাম আমি। বলেছিলাম বিজেপির টিকিটে লখনউ থেকে লড়তে চাই। কিন্তু জবাব আসেনি কোনো’। বিজেপির উপর অভিমানি হলেও মোদী ভক্তি তাঁর ষোলো আনা। ‘গরীবের এই মোদী’ জানিয়েছেন, ‘ভোটে জিতলে আমি যোগী আদিত্যনাথকে দ্বিতীয়বার মুখ্যমন্ত্রী হতে সাহায্য করব। মোদী এবং যোগী আসলে দুটি মুদ্রারই এপিঠ ওপিঠ, মানুষের জন্য ওঁদের নিঃস্বার্থ কাজকে সম্মান করি।’
এই নির্বাচন, প্রচার ইত্যাদির মাঝে আর্থিক অবস্থাটা খুব একটা ভালো যাচ্ছে না অভিনন্দনের। গরীবের মোদী বলে খ্যাত অভিনন্দন কার্যতই গরীব হয়ে পড়েছেন হালে। অর্থের অভাবে ঘর ছেড়েছেন স্ত্রী, চলছে বিচ্ছেদের মামলাও। মাঝে মধ্যেই ট্রেনে শসা বিক্রি করতে হয় তাঁকে। তবুও রণে ভঙ্গ না দেওয়ার পণে স্থির তিনি। উত্তরপ্রদেশ বিধানসভার কুরুক্ষেত্রে কি সত্যিই ‘অভিনন্দন বার্তা’ পাবেন অভিনন্দন সে উত্তর আপাতত সময়ই দেবে।