বাংলা হান্ট ডেস্ক: ২০১৪ সালে সরকারের পরিবর্তনের সাথে সাথে দেশে আমূল পরিবর্তন ঘটেছে। পরিবহন, পরিকাঠামো ক্ষেত্র থেকে শুরু সামরিক এবং বিদেশনীতি, সমস্ত ক্ষেত্রেই ভারতের পরবর্তন চোখে পড়ার মতো। ক্ষমতায় এসেই বহুদিন ধরে পড়ে থাকা MMRCA এর অধীনে ২৬টি রাফাল বিমানের চুক্তি করা হয় ফ্রান্সের সাথে। এবার নৌবাহিনীকে শক্তিশালী করে তোলার লক্ষ্যে আরো একবার ফ্রান্সে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
ভারতে দুই খানা মহামূল্যবান Aircraft Carrier রয়েছে। কিন্তু দুই বিমানবাহী রণতরীতে লড়াইয়ের জন্য যুদ্ধবিমামের সংখ্যা কম থাকায় আবারও ফ্রান্সের রাফাল বিমান কিনতে চলেছে ভারত। আমেরিকান F/A 18 এবং ফ্রান্সের Dassault Rafale বিমানের মধ্যে জোর টক্করের পর অবশেষে INS VIKRANT এর জন্য ২৬টি রাফাল-এম যুদ্ধবিমানের চুক্তি হতে পারে।
এদিকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ফ্রান্সের উদ্দেশ্যে পাড়ি দিচ্ছেন। লক্ষ্য সেখানের বাস্তিল দিবস উপলক্ষে উৎসবের উদযাপনে অংশ নেওয়া। সেখানেই দুই মহামূল্যবান চুক্তি হতে পারে দুই দেশের মধ্যে। উল্লেখ্য যে, এর আগে আমেরিকা সফরে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী মার্কিন প্রেডাটর ড্রোন এবং GE এর সাথে ইঞ্জিনের টেকনলজি ট্রান্সফার সংক্রান্ত চুক্তি করে এসেছেন। তারপর থেকেই ভারতের সাথে যৌথ উদ্যোগে ফাইটার জেট নির্মাণের ইচ্ছা প্রকাশ করে ফ্রান্স। সেই নিয়েও আলোচনা হতে পারে এই বৈঠকে।
প্রধানমন্ত্রী মোদীর সফরে মেরিন রাফালের চুক্তি হতে পারে। তবে শুধু তাই নয়, বহুদিন ধরে অপেক্ষিত স্যাফরানের সাথেও ইঞ্জিন নিয়ে চুক্তি করতে পারে ভারত। খবর অনুযায়ী ১১০ কিলো নিউটন ইঞ্জিনটি পুরোটাই তৈরি হবে ভারতে। এবং তাতে প্রযুক্তিগত ভাবে যাবতীয় প্রয়োজন মেটাবে স্যাফরান। এছাড়া DRDO এর কাবেরী ইঞ্জিনের নির্মাণেও সহায়তা করতে পারে ফ্রান্স।
উল্লেখযোগ্য যে, ফ্রান্সের বাস্তিল দিবসে প্রধান অতিথি হিসেবে আমন্ত্রিত রয়েছেন নরেন্দ্র মোদী। সেখানে আলোচনা হতে পারে ভারত-ফ্রান্সের যুগলবন্দিতে ‘অ্যাডভান্সড মাল্টি রোল কমব্যাট এয়ারক্রাফ্ট’- নির্মানের বিষয়ে। এই নয়া যুদ্ধবিমানেই লাগানো হতে পারে নতুন ইঞ্জিনটি। তবে জানিয়ে রাখি এই প্রথম না, এর আগে রাশিয়ার সাথে পঞ্চম প্রজন্মের বিমান তৈরীর (FGFA) চুক্তি করে ভারত। তাছাড়া ব্রিটেনের তরফেও কয়েকদিন আগে যুগ্মভাবে যুদ্ধবিমান নির্মাণের আমন্ত্রন দেওয়া হয় ভারতকে।