বাংলা হান্ট ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi) বুধবার রাশিয়ার কাজানে ব্রিকস সম্মেলনের ফাঁকে চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা করেছেন। ওই বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী মোদী স্পষ্টভাবে জানান যে, সীমান্তে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখা অগ্রাধিকার হওয়া উচিত। জানিয়ে রাখি যে, ২০২০ সালের মে মাসে পূর্ব লাদাখ সীমান্তে বিরোধ দেখা দেওয়ার পর দুই দেশের মধ্যে এটিই প্রথম বৈঠক।
জিনপিং-এর সঙ্গে সাক্ষাৎ মোদীর (Narendra Modi):
এদিকে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi) এবং চিনা রাষ্ট্রপতি শি জিনপিংয়ের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা এমন এক সময়ে ঘটেছে যার মাত্র দু’দিন আগে ভারত ও চিন পূর্ব লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা (LAC) বরাবর তাদের সেনাবাহিনী দ্বারা টহল দেওয়ার বিষয়ে একটি চুক্তিতে সম্মত হয়েছে। এমতাবস্থায়, সামগ্রিকভাবে চার বছর ধরে চলমান অচলাবস্থার অবসানে এটি ভারতের পক্ষ থেকে একটি বড় সাফল্য বলে মনে করা হচ্ছে।
চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠকের সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi) জানান, “আমরা ৫ বছর পর আনুষ্ঠানিক বৈঠক করছি। আমরা বিশ্বাস করি যে ভারত-চিন সম্পর্ক শুধু আমাদের জনগণের জন্য নয়, বিশ্বব্যাপী শান্তির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। স্থিতিশীলতা এবং অগ্রগতির জন্যও এটি গুরুত্বপূর্ণ। গত ৪ বছরে উদ্ভূত সীমান্ত ইস্যুতে যে ঐক্যমত হয়েছে তাকে আমরা স্বাগত জানাই। সীমান্তে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখা আমাদের সম্পর্কের জন্য অগ্রাধিকার হতে হবে।”
আরও পড়ুন: চমকের পর চমক! এবার বিরাট কোহলিকে পেছনে ফেললেন পন্থ, RCB-তে এন্ট্রি ঘিরে শুরু জল্পনা
এদিকে, “এক্স” মাধ্যমে এই বৈঠকের ছবি শেয়ার করে প্রধানমন্ত্রী মোদী (Narendra Modi) জানান, “কাজান ব্রিকস সম্মেলনের ফাঁকে প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে দেখা হয়েছে। ভারত-চিন সম্পর্ক আমাদের দেশের জনগণের জন্য এবং আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। পারস্পরিক বিশ্বাস, পারস্পরিক শ্রদ্ধা এবং পারস্পরিক সংবেদনশীলতা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের পথ দেখাবে।”
আরও পড়ুন: দ্বিতীয় টেস্ট থেকে বাদ পড়বেন না রাহুল! সমালোচকদের কটাক্ষ করে ইঙ্গিত দিলেন গম্ভীর
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, ২০২২ সালের নভেম্বরে, প্রধানমন্ত্রী মোদী (Narendra Modi) এবং শি জিনপিং একে অপরকে অভিনন্দন জানিয়েছিলেন এবং G-20 নেতাদের জন্য ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রপতি আয়োজিত একটি নৈশভোজে সংক্ষিপ্ত সাক্ষাৎ করেছিলেন। গত বছরও অগাস্ট মাসে, প্রধানমন্ত্রী মোদী এবং চিনা রাষ্ট্রপতি জোহানেসবার্গে ব্রিকস (ব্রাজিল-রাশিয়া-ভারত-চীন-দক্ষিণ আফ্রিকা) সম্মেলনের সময় একটি সংক্ষিপ্ত সাক্ষাৎ করেন।