বাংলাহান্ট ডেস্ক : দীর্ঘ জল্পনা-কল্পনার পর শুক্রবার ব্যাঙ্ককে বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে মুখোমুখি হলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূস (Narendra Modi-Mohammad Yunus)। সূত্রের খবর, ইউনূসের সাথে বৈঠকে একাধিক ইস্যু নিয়ে কথা বলেন মোদি। বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দুদের উপর একের পর এক হামলার ঘটনায় ভারত যে চিন্তিত, সে কথাও এদিন উঠে আসে আলোচনায়।
মোদিকে উপহার প্রদান ইউনূসের (Narendra Modi-Mohammad Yunus)
পাশাপাশি ভারতের বিরুদ্ধে ‘উস্কানিমূলক মন্তব্য’ করা থেকে বিরত থাকার বার্তাও দেন প্রধানমন্ত্রী। অনেকেই বলছেন, আজকের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী মিষ্টি ভাষায় কড়া কথা শুনিয়েছেন ইউনূসকে (Mohammad Yunus)। অন্যদিকে, মোদির সাথে এদিনের বৈঠকে শেখ হাসিনা প্রসঙ্গও উত্থাপন করেন ইউনূস। যদিও বাংলাদেশের তরফে দাবি করা হয়েছে, ‘বৈঠক ফলপ্রসূ হয়েছে।’ তবে মোদির তরফে ‘মিছরির ছুরি’ উপহার পেলেও, এদিন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টাকে দেখা গেল হাসি মুখেই।
আরও পড়ুন : একই সাথে চাকরিহারা ছেলে-বৌমা! কষ্ট সহ্য না করতে পেরে মৃত্যু মায়ের, সরকারের দিকে আঙ্গুল পরিবারের
শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) হাতে একটি বিশেষ উপহারও তুলে দেন ইউনূস। মোদির সাথে নিজের একটি পুরনো ছবি এদিন উপহার হিসাবে প্রধানমন্ত্রীর হাতে তুলে দেন বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা। ২০১৫ সালের ৩ জানুয়ারি মুম্বইয়ে অনুষ্ঠিত ১০২তম ভারতীয় বিজ্ঞান কংগ্রেসে ‘অধ্যাপক’ মহম্মদ ইউনূসকে স্বর্ণপদক প্রদান করে সম্মান জানান নরেন্দ্র মোদি। সেই অনুষ্ঠানের ছবিই এদিন মোদির হাতে তুলে দিলেন ইউনূস (Narendra Modi-Mohammad Yunus)।
শুক্রবারের বৈঠকের পর নিজের ফেসবুক পেজে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি লেখেন, “বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূসের সঙ্গে দেখা করেছি। ভারত বাংলাদেশের সঙ্গে গঠনমূলক ও জনগণ-কেন্দ্রিক সম্পর্কের প্রতি অঙ্গিকারাবদ্ধ। আমি বাংলাদেশে শান্তি, স্থিতিশীলতা, অন্তর্ভুক্তি এবং গণতন্ত্রের প্রতি ভারতের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছি। এছাড়া অবৈধ সীমান্ত পারাপার বন্ধে আলোচনা করেছি। সঙ্গে হিন্দু ও অন্যান্য সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছি।”
আরও পড়ুন : মোথাবাড়ি যেতে চান শুভেন্দু! ‘সংবিধান অনুসারে যে কেউ যেখানে ইচ্ছা যেতে পারেন’! রাজ্যকে বলল হাইকোর্ট
বৈঠক শেষে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানান, “বৈঠকে দুই দেশের পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টা বৈঠকে শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ, ভারতে বসে উনি (শেখ হাসিনা) বিভিন্ন ইনসেনডিয়ারি (আক্রমণাত্মক) মন্তব্য করছেন, সেসব বিষয়ে কথা বলেছেন। এছাড়া সীমান্ত হত্যা, গঙ্গা চুক্তি নবায়ন এবং তিস্তা নদীর পানিবন্টন নিয়েও কথা হয়েছে বৈঠকে।”