বাংলা হান্ট ডেস্কঃ করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের সাথে মোকাবিলা করতে রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছে রাজ্য। সংক্রমণের হার কিছুটা কমলেও গত ২৪ ঘন্টায় ফের সংক্রমিত হয়েছেন ১৭ হাজার ৮৮৩ জন। এনিয়ে পশ্চিমবঙ্গে মোট কোভিড আক্রান্ত হলেন প্রায় ১৩ লক্ষ্যের কাছাকাছি মানুষ। গতদিনেও মৃত্যু হয়েছে ১৫৩ জনের। তাই কোভিড যে ক্রমাগত একটু একটু করে গ্রাস করছে পশ্চিমবঙ্গকে নিয়ে কোন সন্দেহ নেই। জেলাগুলিতেও শুরু হয়েছে গোষ্ঠী সংক্রমণ। এমতাবস্থায়, মুর্শিদাবাদ নিয়ে এর আগেই একাধিক প্রশ্ন তুলেছেন দেশের বিরোধী দলনেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী। স্বাস্থ্য পরিকাঠামো নিয়ে এর আগেও একাধিকবার মুখ্যমন্ত্রীর সমালোচনা করেছেন তিনি।
কিছুদিন আগেই করোনা বিষয়ে ভাবিত হয়ে মুর্শিদাবাদে একটি ৫০০ শয্যার কোভিড হাসপাতাল গড়ে তোলার জন্য কেন্দ্রকে চিঠি দেন তিনি। তার উত্তর না এলেও এবার হাসপাতালের জন্য প্রয়োজনীয় আশ্বাসও আদায় করে নিলেন অধীর। এদিন সিবিআইয়ের নতুন ডিরেক্টর নির্বাচনের জন্য নিজের বাসভবনে একটি বৈঠক দেখেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। প্রটোকল অনুযায়ী বৈঠকে উপস্থিত হন বিরোধী দলনেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী এবং সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এমভি রামনা। মূলত এই তিনজনের দায়িত্বেই সিবিআই ডিরেক্টর নির্বাচন করা হয়।
এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে ফের একবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনায় বসেন অধীর রঞ্জন চৌধুরী। জঙ্গিপুরের হাসপাতালে আগেও দেখা গিয়েছিল অরাজগতার ছবি। রোগীদের নিজেদের সোয়াব টেস্ট করতে হচ্ছিল নিজেদেরই। এছাড়া চিকিৎসা পরিষেবা নিয়েছিল যথেষ্ট বিক্ষোভ। এদিন সেকথাই প্রধানমন্ত্রীর কাছে তুলে ধরে ডিআরডিও এর মাধ্যমে একটি ৫০০ শয্যার কোভিড হাসপাতাল বোর্ডে দেবার জন্য অনুরোধ জানান তিনি। অধীরবাবুর বক্তব্য অনুযায়ী আবেদনে সাড়া দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীও। ডিআরডিও ইতিমধ্যেই এ ধরনের হাসপাতাল বানিয়েছে দিল্লিতে। সুতরাং মুর্শিদাবাদেও একই কাজ করতে কোন অসুবিধা নেই।
অধীর বাবুর মতে, কোভিড ১৯ এখনই যাবে বলে মনে হচ্ছে না। এমনকি তৃতীয় ঢেউয়েরও আশঙ্কা রয়েছে। তাই মুর্শিদাবাদের সাধারণ মানুষের সুরক্ষার জন্য এই হাসপাতাল একান্ত দরকার। সহমত হয়েছেন প্রধানমন্ত্রীও। যদিও এই হাসপাতাল হবে অস্থায়ী। কিন্তু তা হলেও এই মুহূর্তে করোনার বাড়বাড়ন্তে চিকিৎসা পরিকাঠামো উন্নত হলে, সাহায্য পাবেন অনেক মানুষই।