বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রাত পোহালেই ঝাড়খন্ড বিধানসভা কেন্দ্রে প্রথম দফার ভোটগ্রহণ পর্ব শুরু হতে চলেছে। তার আগেই ঝাড়খন্ড থেকে নির্বাচনী প্রচারে এসে রাজ্যের শাসকদলকে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়ে গেলেন নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। সেইসাথে রাজ্যবাসীর উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রীর সতর্কবাণী কংগ্রেসের ফাঁদে পা দেবেন না।
কংগ্রেসের বিরুদ্ধে বিরাট প্রমাণ দেখালেন মোদি (Narendra Modi)
কিন্তু প্রশ্ন হল ঠিক কোন ফাঁদ তৈরি করেছে কংগ্রেস? নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) দাবি বিভাজন তৈরি করে জনজাতি-উপজাতি-ওবিসিদের মনোবল ভাঙার চেষ্টায় রয়েছে কংগ্রেস। তাই এই ফাঁদে পা না দিয়ে সমস্ত সম্প্রদায়ের মানুষকে একজোট হয়ে থাকার পরামর্শ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী এদিন বললেন, ‘যখনই সমাজ ছোট ছোট জাতি-উপজাতিতে ভেঙে যায়, তখন জনজাতি, উপজাতি, ওবিসিদের কণ্ঠ দুর্বল হয়ে যায়। যে দিন এটা হয়ে যাবে, কংগ্রেসের চক্রান্ত সফল হয়ে যাবে। ওরা সমস্ত সংরক্ষণ কেড়ে নেবে। সেই কারণেই আমি বলি এক রহেঙ্গে তো সেফ রহেঙ্গে।’
এদিন ঝাড়খন্ডে নির্বাচনী প্রচারে এসে নমো অ্যাপের মাধ্যমে বিজেপি কর্মীদের সাথে কথা বলতে দেখা যায় প্রধানমন্ত্রীকে। সেইসাথে জনসাধারণের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী এদিন বলেন, ‘বুথ স্তরে বিজেপি যে ভালোবাসা আশীর্বাদ পাচ্ছে তাতে স্পষ্ট যে জেএমএম সরকার এবার বিদায় নিতে চলেছে। দুর্নীতি মাফিয়া অপরেশনের হাত থেকে এবার মুক্তি পাবে এই রাজ্য।’ তাই ঝাড়খন্ডকে উন্নয়নের পথে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাউন্টডাউন শুরু হয়ে গিয়েছে বলেই দাবি করেছেন নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)।
আরও পড়ুন: কাকাদের সামনেই যুবতীকে ধর্ষণ! নিজের পিসির ছেলের বিরুদ্ধেই অভিযোগ লাভপুরের যুবতীর
সেই সাথে এদিন কংগ্রেসের পরিবারতন্ত্রের উপর আঘাত হেনে এদিন প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কংগ্রেসের রয়্যাল পরিবারের সকলে, জওহরলাল নেহরু থেকে শুরু করে রাজীব গান্ধী- সকলেই সংরক্ষণের বিরোধী ছিলেন এবং দলিত, আদিবাসী ও ওবিসি সম্প্রদায়ের কণ্ঠরোধ করেছেন। ১৯৯০-র আগে ওবিসি সমাজ একজোট হতে পারেনি। কিন্তু যখন তারা একজোট হল, তখনই কংগ্রেসের ক্ষতি হল। এরপর থেকে কংগ্রেস কখনও পূর্ণ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে সরকার গড়তে পারেনি।’
তবে শুধু মুখের কথা নয়! এদিন সকলের সামনে বড় প্রমান তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। রাজীব গান্ধীর আমলের কংগ্রেসের নির্বাচনী প্রচারে ব্যবহৃত একটি বিজ্ঞাপন সবাইকে দেখান নরেন্দ্র মোদী। সেই বিজ্ঞাপনে স্পষ্টভাবে জনজাতি, উপজাতি ও ওবিসিদের সংরক্ষণ তুলে নেওয়ার কথাই বলা হয়েছিল।