বাংলাহান্ট ডেস্ক: রবিবার ৯০ তম ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠান করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। প্রতি মাসে এই বিশেষ রেডিও বার্তায় দেশবাসীর উদ্দেশে নিজের বক্তব্য পেশ করেন তিনি। এদিন তাঁর কথায় উঠে এল জরুরি অবস্থার (Emergency Period) স্মৃতি। কিংবদন্তি শিল্পী কিশোর কুমারকে (Kishore Kumar) গান গাইতে দেওয়া হয়নি সে সময়ে। গোটা দেশ জুড়ে অরাজক অবস্থা সৃষ্টি হয়েছিল।
প্রধানমন্ত্রী এদিন বলেন, “আজ দেশবাসী ৭৫ তম স্বাধীনতার বর্ষ, অমৃত মহোৎসব উদযাপন করছে। কিন্তু জরুরি অবস্থার ভয়াবহ সময়টার কথা আমাদের কোনোদিনই ভুলে যাওয়া উচিত নয়। ভবিষ্যৎ প্রজন্মেরও কখনো ভোলা উচিত নয়। ১০০ বছরের দাসত্ব থেকে মুক্তির জয়গাথা শুধু নয়, অমৃত মহোৎসব স্বাধীনতার পর ৭৫ বছরের সফরটাকেও তুলে ধরে। ইতিহাসের প্রতিটি অধ্যায় থেকে শিক্ষা নিয়ে আমরা এগিয়ে যাই।”
এরপরেই প্রধানমন্ত্রীর কথায় উঠে আসে জরুরি অবস্থার প্রসঙ্গ। তরুণ প্রজন্মকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, সময়টা ছিল ১৯৭৫ এর জুন মাস। এখন হয়তো ব্যাপারটা অবিশ্বাস্য লাগতে পারে, কিন্তু সে সময়ে নাগরিকদের কাছ থেকে সমস্ত অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছিল। তার মধ্যে ছিল ছিল ‘বেঁচে থাকার এবং ব্যক্তি স্বাধীনতার অধিকার’ও। গণতন্ত্রকে চূর্ণ করার চেষ্টা করা হয়েছিল।
কিশোর কুমারের কথা উল্লেখ করে নরেন্দ্র মোদী বলেন, কিংবদন্তি শিল্পী সরকারকে সমর্থন করেননি বলে তাঁকেও পড়তে হয়েছিল রোষানলে। রেডিওতে তাঁর গান গাওয়া বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “বহু হত্যা, গ্রেফতারির পরেও ভারতীয়দের গণতন্ত্রের উপর থেকে বিশ্বাস টলেনি।”
জরুরি অবস্থার সাক্ষী থেকেছেন প্রধানমন্ত্রী নিজে। দেশবাসীর সংগ্রামের সময়ে, গণতন্ত্রের সৈনিক হওয়ার সৌভাগ্য হয়েছিল তাঁর, মন কি বাত অনুষ্ঠানে মন্তব্য করেন নরেন্দ্র মোদী।