বাংলা হান্ট ডেস্ক : মোদি (Narendra Modi) জ্বরে ভুগছিল আমেরিকা (America)। তাঁর পা পড়তেই স্লোগানে ফেটে পড়ল অধিবেশন কক্ষ। তাঁর ভাষণের মাঝে ঘনঘন শোনা গেল করতালি। একটা সময় উঠে দাঁড়িয়ে তাঁকে সম্মান দেখালেন আইন প্রণেতারা। কেউ চাইলেন অটোগ্রাফ। আবদার মেটাতে কারোর সঙ্গে তুলতে হল সেলফি।
তিনি ১৪০ কোটি ভারতবাসীর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র দামোদরদাস মোদি। শুক্রবার দ্বিতীয়বারের জন্য মার্কিন কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনে ভাষণ দিলেন নমো। তাঁর বক্তৃতা ও রাজনৈতিক নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা শোনা গিয়েছে আমেরিকার পোড় খাওয়া রাজনীতিবিদদের গলায়।
এদিন নমস্কার বলে মার্কিন কংগ্রেসে ভাষণ শুরু করেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। ‘গণতন্ত্রের পীঠস্থান হিসেবে পরিচিত এই আইনসভায় ভাষণ দেওয়া সত্যিই খুব সম্মানের বিষয়। দ্বিতীয়বার এই সুযোগ পেয়ে আমি গর্বিত। আর এর জন্য ১৪০ কোটি ভারতীয়কে অন্তর থেকে কৃতজ্ঞতা জানাই। তাঁদের আশীর্বাদেই আমার চালিকা শক্তি।’ শুক্রবারের ভাষণে বলেন নমো।
এর পাশাপাশি এদিনের বক্তৃতায় ভারত-মার্কিন সুদৃঢ় সম্পর্কের কথা বারবার তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। টেনে আনেন দুই দেশের গণতান্ত্রিক ও সাংস্কৃতিক মেলবন্ধনের প্রসঙ্গ। নমোর কথায়, ‘আমি শুধু ধৈর্য্য আর নীতির কথা বলতে পারি। ধারনা আর আদর্শের বিতর্ক বুঝি। কিন্তু আজ আপনাদের একসঙ্গে বসে দুই দেশের গণতন্ত্রকে উদযাপন করতে দেখে আমি অভিভূত।
এর পরই ভারত-মার্কিন সাংস্কৃতিক মেলবন্ধনের কথা শোনা যায় প্রধানমন্ত্রী মোদির গলায়। ‘আমেরিকার প্রতিষ্ঠা সাম্য ও সমানাধিকারের থেকে অনুপ্রাণিত। এখানকার কোটি কোটি বাসিন্দার শিকড় রয়েছে ভারতে। তাঁদেরই কেউ কেউ আজ আমার সামনে গর্বিত ভাবে এই অধিবেশন কক্ষে বসে রয়েছেন।’ মার্কিন কংগ্রেসের ভাষণে বলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি।
বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের আমন্ত্রণে ঐহিত্যবাহী রাষ্ট্রীয় নৈশাহারে অংশ নেন নমো। পরে সেখানেই যৌথ বিবৃতি দেন তাঁরা। এই আবহে অবশ্য প্রধানমন্ত্রী মোদির কড়া সমালোচনা করেন প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট বারাক হুসেন ওবামা।