বাংলাহান্ট ডেস্কঃ করোনা (COVID-19) জ্বরে ভুগছে এখন বিশ্ববাসী। দাবানলের আকারে ছড়িয়ে পড়ছে সমগ্র। সমগ্র বিশ্বে এখনও অবধি প্রায় ২৭৬১০৪ মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন এবং প্রাণ হারিয়েছেন প্রায় ১১৪০২ জন। ভারতে (India) এই মুহুর্তে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৫০ এবং মৃতের সংখ্যা ৫। দেশ জুড়ে আতঙ্ক সৃষ্টিকারী করোনা ভাইরাসের আঁতুড় ঘর চীন এখন অনেকটা সুস্থ। বর্তমানে চীনকে ছাড়িয়ে ইটালিতে এখন মৃত্যু সংখ্যা ৩৪ হাজার ছাড়িয়েছে।
সংকটজনক পরিস্থিতিতে দেশবাসিকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। অযথা ভয় পাবেন না, বাড়ি থেকে খুব প্রয়োজন ছাড়া কাউকে বেরোতে বারণ করেছেন তিনি। বিগত দুমাস ধরে করোনা ভাইরাসের খবর পাওয়া গেলেও, তা এখন সকলের মনে ত্রাসের সৃষ্টি করেছে।
করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য দিকে দিকে স্কুল, কলেজ, অফিস, আদালত, সিনেমা হল, শপিং মল এবং বিভিন্ন জনবহুল প্রতিষ্ঠান সরকারী পক্ষ থেকে বন্ধ রাখা হয়েছে। শুধুমাত্র প্রয়োজন ছাড়া সাধারণ মানুষকে ঘর থেকে বেরোতে বারণ করা হয়েছে। আগামি কাল অর্থাৎ ২২ শে মার্চ সমগ্র ভারতব্যাপী জনতা কার্ফুর ডাক দিয়েছেন মোদী সরকার। সকাল ৭ টা থেকে রাত ৯ টা অবধি কোন মানুষকেই ঘর থেকে বেরোতে নিষেধ করা হয়েছে। করোনা পরিস্থিতি সামাল দিতে এখন একজোট হয়েছে কেন্দ এবং রাজ্য।
ইতিমধ্যেই ভারতে ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে এই রোগের ফলে। যার মধ্যে পঞ্জাবের এক ব্যক্তি রয়েছেন, যিনি কিছুদিন আগেই ইটালি থেকে ফিরেছেন। প্রথম প্রাণ হারান ১২ ই মার্চ ৭৬ বছর বয়সের এক ব্যক্তির হয়। তারপর দিল্লীতে ৬৮ বছর বয়সী এক বৃদ্ধা প্রাণ হারান। মুম্বাইয়ে ১৭ ই মার্চ ৬৪ বছরের বয়সী একজন ব্যক্তি প্রাণ হারান এবং পাঞ্জাবে ৭০ বছরের এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়। এবং সর্বশেষ মৃত্যু হয় জয়পুরে ঘরতে আসা এক বিদশি পর্যটকের।
দেশের এই সংকটকালীন পরিস্থিতিতে নরেন্দ্র মোদী বলেন, ‘সম্ভব হলে দেশের প্রবীণ নাগরিকরা ঘর থেকে বেরবেন না। আমি বারবার অনুরোধ করছি ৬০-৬৫ বছর বয়সী ব্যক্তিরা বাড়ি থেকে বেরবেন না’। প্রবীণ নাগরিকদের উপর বেশি প্রভাব বিস্তার করা এই রোগের প্রকোপ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করছে। আজ থেকে শ্রীনগরে মানুষের যাতায়াত নিয়ে বিভিন্ন বিধি নিষেধ আরোপ করা হল। কেরলে করোনা ভাইরাসের মোকাবিলা করার জন্য ২০ হাজার কোটি টাকার প্যাকেজকে সরকার অনুমতি দিয়ে দিয়েছে। বিভিন্ন মন্দিরও বন্ধ রাখা হচ্ছে। ১০০ বছরে এই প্রথম কলকাতার ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল হলও বন্ধ রাখা হচ্ছে।